international News

ডোকলাম আমাদেরই, চিনের দাবি নস্যাৎ করে বলল ভুটান

ডোকলাম চিনের এলাকা এবং সে কথা ভুটান স্বীকার করেছে। বুধবার দাবি করেছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার চিনের সে দাবি উড়িয়ে দিল ভুটানের বিদেশ মন্ত্রক। জানাল, চিন সীমান্ত লঙ্ঘন করেছে বলে যে অভিযোগ ভুটান আগে করেছিল, সেই অভিযোগেই ভুটান অনড় রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১৭:১৭
Share:

সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, সেই টানাপড়েনে ভারতের অবস্থানকে আরও মজবুত করল ভুটানের বক্তব্য। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। —প্রতীকী ছবি।

চিনের দাবি নস্যাৎ করল ভুটান। ডোকলাম চিনের এলাকা বলে মেনে নিয়েছে ভুটান, গতকাল অর্থাৎ বুধবার এমন দাবি করেছিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক। আজ, বৃহস্পতিবার সেই দাবি ভুটান উড়িয়ে দিল। ডোকলাম ভুটানের এলাকা এবং সেখানে চিন অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছে বলে যে কথা আগে জানানো হয়েছিল, এখনও থিম্পু সেই অবস্থানেই অনড় রয়েছে। জানানো হল ভুটান সরকারের তরফে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

চিনা বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সামুদ্রিক বিষয় সংক্রান্ত বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ওয়াং ওয়েনলি বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান, ডোকলাম যে চিনের এলাকা, তা ভুটান মেনে নিয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনায় ভুটান জানিয়েছে, যে এলাকায় ভারত এবং চিনের সেনা এখন মুখোমুখি অবস্থানে, সেটি চিনের এলাকা, দাবি করেন ওয়েনলি।

আরও পড়ুন: সুকনা থেকে বাহিনী গেল সীমান্তে, সিকিমে গ্রাম খালি করা শুরু

Advertisement

চিনের এই দাবি আজ ভুটানের তরফে নস্যাৎ করা হয়েছে। ডোকলামকে কখনওই চিনের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, জানিয়েছে থিম্পু। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ভুটান সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ‘‘ডোকলামের সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। ২০১৭-র ২৯ জুন ভুটান সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে আমরা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছি, সেটাই এখনও আমাদের অবস্থান।’’

আরও পড়ুন: গুয়ামে হানার হুমকি, ফুঁসছে কিমের দেশ

২৯ জুন যে বিবৃতি ভুটান প্রকাশ করেছিল, সেখানে জানানো হয়েছিল, ডোকলামে ভুটানের এলাকায় ঢুকে চিন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল, যা ভুটান-চিন সীমান্ত চুক্তির প্রত্যক্ষ লঙ্ঘন এবং এতে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভুটান সরকারের সেই বিবৃতিতে খুব স্পষ্ট করে লেখা হয়েছিল, ডোকলামের ডোকোলা থেকে একটি রাস্তা তৈরি করা শুরু করেছিল চিনা সেনা, যে রাস্তা জমপেলরি এলাকায় অবস্থিত ভুটানি সেনা ছাউনির দিকে এগোচ্ছিল।

ওই সব এলাকা চিনের না ভুটানের, তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। যত দিন না সেই মতভেদ মিটছে এবং সীমান্ত চিহ্নিত হচ্ছে, তত দিন দু’পক্ষই সেখানে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে বলে চিন ও ভুটানের মধ্যে চুক্তিও রয়েছে। তা সত্ত্বেও চিন ডোকলামে যে ভাবে একতরফা আগ্রাসন দেখিয়েছে, তাতে চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই ভুটান মনে করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন