উবাহ বাটলার এই ছবি টুইট করেছেন।
দ্য শেড অ্যাট ডালউইচ। অনলাইন রিভিউ বলছে এটাই লন্ডনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রেস্তরাঁ। অসাধারণ সব উপকরণ সমৃদ্ধ একেকটি খাবারের নাম সেখানে জুড়ে রয়েছে মানুষের একেক রকম অনুভূতির সঙ্গে। আর স্বাদ? সে তো বলাই বাহুল্য।
কী না পাওয়া যায় দ্য শেড-এ। মেনুর লিস্টে রয়েছে, লাস্ট-র্যাবিট কিডনিজ অন টোস্ট, এমপ্যাথেটিক-বেগান কামস ইন আ ক্লিয়ার ব্রথ, কন্টেমপ্লেশন-এ ডিকনস্ট্রাকটেড অ্যাবারডিন স্টু। তবে সে তো সারা বিশ্বেরই নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক সুস্বাদু রেস্তরাঁ। হঠাত্ শেড নিয়ে এত কথা কেন? উত্তরটা বরং শুনে নিন ‘মালিক’ উবাহ বাটলারের কাছ থেকেই— “এক দিন আমার বাড়ির বাগানের শেড-এ বসে প্র্যাঙ্ক নিউজ ওয়েসাইট ঘাঁটতে ঘাঁটতে মাথায় একটা আইডিয়া এল। তখনই শুরু করে দিলাম কাজ। জোগাড় করে ফেললাম ১৮ হাজার ১৪৯টা রিভিউ। সঙ্গে লোভনীয় সব ছবি। ট্রিপঅ্যাডভাইজার–এ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লন্ডনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রেস্তরাঁর তালিকায় চলে আসে দ্য শেড।”
কিছু দিনের মধ্যেই আসতে থাকে বুকিং ডিমান্ড, পি আর অফার, মিডিয়ার অনুরোধ। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে আসে দ্য শেড। অবশেষে পাবলিক ডিমান্ড-এর চোটে নিজের বাড়ির পিছনের বাগানে রেস্তরাঁ খুলতে বাধ্য হন বাটলার। আইসল্যান্ডের সুপারমার্কেট থেকে রেডিমেড কিছু খাবার কিনে এনে ভরে দেওয়া হয় কাস্টমারদের প্লেট। ব্যস, ধরা পড়ে যান বাটলার।
এই সেই মেনু কার্ড
আরও পড়ুন: মেকআপ, ফোটোশপেই এই রূপ, স্বীকার করলেন ইরানের তরুণী
তড়িঘড়ি এ বার আসতে থাকে রিভিউ। সবাই জেনে যান ফেক রেস্তরাঁর কাহিনি। তবে বাটলারের এই আইডিয়া যে একবারেই অভিনব সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে ট্রিপঅ্যাডভাইজার-এর সাইটে। ফেক রেস্তরাঁ খুলে যে এ ভাবে চমকে দেওয়া যায় তা কষ্মিনকালেও ভাবা যায়নি।
আরও পড়ুন: মৃত সন্তানের দেহ ফ্রিজেই রেখে দিয়েছেন মা!
আর সেই লোভনীয় খাবারের ছবিগুলো? বাটলার নিজেই জানিয়েছেন, ব্লিচ ট্যাবলেট, শেভিং ফোম, গ্লস পেইন্ট এমনকী মানুষের পায়ের পাতার উপর ডিম রেখে অমন লোভনীয় সব ‘খাবার’ বানিয়েছিলেন তিনি।