International News

বাণিজ্য বাড়াতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চায় চিন, বৈঠক কি এ মাসেই?

ভারতের বিদেশমন্ত্রক ও চিনের বাণিজ্য ও বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য এ ব্যাপারে জানা না গেলেও, সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারির শেষাশেষি ওই বৈঠক হতে পারে দিল্লিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:০৭
Share:

ফাইল ছবি।

আমেরিকার সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ চলছে বলে এশিয়ায় তার পণ্যের বাজার বাড়াতে মরীয়া হয়ে উঠেছে চিন। আর তাই দিল্লির সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চাইছে বেজিং। চাইছে, নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তি। কূটনৈতিক সূত্রে এই খবর মিলেছে।

Advertisement

ভারতের বিদেশমন্ত্রক ও চিনের বাণিজ্য ও বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য এ ব্যাপারে জানা না গেলেও, সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারির শেষাশেষি ওই বৈঠক হতে পারে দিল্লিতে।

শুল্ক বাড়িয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে ভাবে মার্কিন মুলুকে চিনা পণ্যের অনুপ্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে এশিয়ায় চিনা পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ভারতকে পাশে পাওয়াটা এখন খুব প্রয়োজন বেজিংয়ের। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, দিল্লির সঙ্গে তাই নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে বেজিং।

Advertisement

বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এশিয়ায় ১৬টি দেশে দ্রুত তার বাজার গড়ে তুলতে ও তা বাড়াতে বেজিংয়ের তৎপরতা অবশ্য আগেই শুরু হয়েছিল। প্রয়াস শুরু হয়েছিল এশিয়ার ১৬টি দেশকে নিয়ে ‘রিজিওন্যাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের। এখন বেজিং চাইছে, সেই চেষ্টা ২০১৯ সালের শেষাশেষি বাস্তবে রূপ পাক।

কিন্তু এতে দিল্লির দোনামোনা রয়েছে। কারণ, ভারতের বাজারে চিনা পণ্যের ঢালাও অনুপ্রবেশের ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৫ সালে তা ছিল ৪ হাজার ৮১৯ কোটি ডলার। আর দু’বছর পর, ২০১৭-য় তা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। যে পরিমাণে চিনা পণ্য ভারতে ঢুকছে, তার সঙ্গে চিনা বাজারে ঢোকা ভারতীয় পণ্যের পরিমাণ তাল মেলাতে পারছে না।

আরও পড়ুন-

আরও পড়ুন-

আমেরিকার সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ চলছে বলে এশিয়ায় তার পণ্যের বাজার বাড়াতে মরীয়া হয়ে উঠেছে চিন। আর তাই দিল্লির সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চাইছে বেজিং। চাইছে, নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তি। কূটনৈতিক সূত্রে এই খবর মিলেছে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রক ও চিনের বাণিজ্য ও বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য এ ব্যাপারে জানা না গেলেও, সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারির শেষাশেষি ওই বৈঠক হতে পারে দিল্লিতে।

শুল্ক বাড়িয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে ভাবে মার্কিন মুলুকে চিনা পণ্যের অনুপ্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে এশিয়ায় চিনা পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ভারতকে পাশে পাওয়াটা এখন খুব প্রয়োজন বেজিংয়ের। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, দিল্লির সঙ্গে তাই নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে বেজিং।

বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এশিয়ায় ১৬টি দেশে দ্রুত তার বাজার গড়ে তুলতে ও তা বাড়াতে বেজিংয়ের তৎপরতা অবশ্য আগেই শুরু হয়েছিল। প্রয়াস শুরু হয়েছিল এশিয়ার ১৬টি দেশকে নিয়ে ‘রিজিওন্যাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনমিক এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের। এখন বেজিং চাইছে, সেই চেষ্টা ২০১৯ সালের শেষাশেষি বাস্তবে রূপ পাক।

কিন্তু এতে দিল্লির দোনামোনা রয়েছে। কারণ, ভারতের বাজারে চিনা পণ্যের ঢালাও অনুপ্রবেশের ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৫ সালে তা ছিল ৪ হাজার ৮১৯ কোটি ডলার। আর দু’বছর পর, ২০১৭-য় তা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। যে পরিমাণে চিনা পণ্য ভারতে ঢুকছে, তার সঙ্গে চিনা বাজারে ঢোকা ভারতীয় পণ্যের পরিমাণ তাল মেলাতে পারছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন