দাঁতে ক্ষয়! প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন! অবস্থা বুঝে রুট ক্যানাল কিংবা ফিলিং করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে আজ বলে নয়, ১৩ হাজার বছর আগেও এমনটাই নিদান দিয়েছিলেন ইতালির এক চিকিৎসক। সেই সময়কার একটি কঙ্কালের দাঁতের পাটি পরীক্ষা করে এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ‘আমেরিকান জার্নাল অব ফিজিক্যাল অ্যানথ্রোপলজি’-তে। আর তাতে এটিকেই বিশ্বের প্রাচীনতম ডেন্টাল ফিলিং বলে দাবি করা হয়েছে।
বর্তমানে ফিলিংয়ের ক্ষেত্রে এক ধরনের যৌগিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে যা নরম, তবে অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে পরে শক্ত ভাবে দাঁতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। ফিলিংয়ের প্রয়োজনে আলাদা করে দাঁতে গর্তও করতে হয় অনেক সময়।
আরও পড়ুন: রেহাই পেলেন না আডবাণী
১৩ হাজার বছর আগেও ঠিক এ ভাবেই ফিলিং করা হতো বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যে কঙ্কালটিকে তাঁরা পরীক্ষা করেছেন, সেটির সামনের পাটির দু’টি দাঁতে গভীর গর্ত মিলেছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ফিলিং করতেই গর্ত দু’টি তৈরি করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই দাঁতের মধ্যে আলকাতরার মতো পদার্থ, বিটুমেনের হদিস পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, তখন এ ভাবেই ডেন্টাল ফিলিং হতো। তাতে রং না মিলুক, দাঁতের সংক্রমণ তো ঠেকানো যেত!