National news

আবার বিপ্লব! সিভিল ইঞ্জিনিয়রদেরই সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার পরামর্শ

সিভিল সার্ভিস নিয়ে বিপ্লবের মন্তব্যকে অনেকেই ‘বৈপ্লবিক’ বলে কটাক্ষ করছেন। প্রশ্ন উঠছে সিভিল সার্ভিস আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং তো আলাদা ক্ষেত্র। তবে কি নামে মিল বলে দুই ‘সিভিল’-এ গুলিয়ে ফেলেছেন বিপ্লব?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ১২:৩৩
Share:

বিপ্নব দেব। ফাইল চিত্র।

মুখ খুললেই খবরের ‘মুখশুদ্ধি’ জুগিয়ে চলেছেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরায় মানিক জমানার অবসান হয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে কথায় কথায় মণি-মাণিক্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব। নতুন প্রজন্মকে পরামর্শ দেওয়ার সুরে কখনও তিনি বলছেন, ‘‘সিভিল ইঞ্জিনিয়রদেরই সিভিল সার্ভিসে যাওয়া উচিত। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রদের নয়।’’ আর তা নিয়ে হাসাহাসির রেশ থামতে না থামতেই বলে বসলেন, ‘‘চাকরির বদলে গরুর দুধ বিক্রি করুন। ১০ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে যাবেন।’’

Advertisement

নির্বাচনী জনসভায় ত্রিপুরার নতুন প্রজম্মকে চাকরির আশা দেখিয়েছিল তাঁর দল। প্রশ্ন উঠেছে, সে সবের থেকে মুখ ঘোরাতেই কি বিপ্লবের এই নতুন স্টান্স? নইলে কেন সরকারি চাকরির প্রত্যাশায় বসে না থেকে, অল্পবয়সীদের পানের দোকান খোলা কিংবা গরুর দুধ বিক্রির পরামর্শ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী? রবিবার আগরতলার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘চাকরির জন্য রাজনীতিকদের পেছনে ছুটবেন না। তার বদলে গরু কিনে দুধের ব্যবসা করুন। কিংবা পানের দোকান দিন।’’ চাকরির থেকে সেটা যে কত বেশি লাভজনক তার হিসেবও দিয়েছেন বিপ্লব।

‘মহাভারত’ আর ‘বিশ্বসুন্দরী’ নিয়ে বিপ্লবের বক্তব্য গত বেশ কয়েক দিন ধরেই খবরের উপাদেয় ‘খোরাক’ হয়ে রয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যেই শনিবার তাঁর নতুন সংযোজন ছিল ‘সিভিল’ বিভ্রাট। তিনি বলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রদের কখনই সিভিল সার্ভিসে যাওয়া উচিত নয়, যাওয়া উচিত সিভিল ইঞ্জিনিয়রদেরই। কেন? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে তিনি। বিপ্লবের মতে, সিভিল ইঞ্জিনিয়রদের যেহেতু গঠন সংক্রান্ত জ্ঞান থাকে, এবং সমাজকে গঠন করাই সিভিল সার্ভিস, তাই সিভিল ইঞ্জিনিয়রদেরই উচিত সিভিল সার্ভিসে যাওয়া।

Advertisement

সিভিল সার্ভিস নিয়ে বিপ্লবের মন্তব্যকে অনেকেই ‘বৈপ্লবিক’ বলে কটাক্ষ করছেন। প্রশ্ন উঠছে সিভিল সার্ভিস আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং তো আলাদা ক্ষেত্র। তবে কি নামে মিল বলে দুই ‘সিভিল’-এ গুলিয়ে ফেলেছেন বিপ্লব?

জানা যাচ্ছে, বিপ্লব যে ভাবে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন, তাতে নাকি ত্রিপুরায় বিজেপি শিবিরও অস্বস্তিতে। বিশেষ করে আগ বাড়িয়ে মন্তব্যে না করার জন্য যখন দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, তার পরেও কেন বিপ্লব বেলাগাম?

এ মাসেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট ছিল। নইলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ধারাবিবরণী কী ভাবে ধৃতরাষ্ট্রকে দেবেন সঞ্জয়?’’ এর পরে নারী সোন্দর্য নিয়েও তিনি ‘অকপট’। বিপ্লবের দাবি ছিল, ডায়না হেডেন এমন কিছু সুন্দরী নন যে তাঁকে বিশ্বসুন্দরী করতে হবে! চাপের মুখে সে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অবশ্য। কিন্তু তার পরেও বিপ্লবের বাণী যে ফুরিয়ে যাওয়ার নয়, তারই যেন প্রমাণ দিয়ে চলেছেন ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন