International News

জানুয়ারি থেকে চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়ছে না আমেরিকায়

ট্রাম্প জানালেন, আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাঁর দেশে ঢোকা চিনা পণ্যের উপর আর বাড়তি শুল্ক চাপানো হবে না। বরং কী ভাবে চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে দাঁড়ি টানা যায়, আগামী তিন মাসে তা নিয়ে আলোচনায় বসবে দু’টি দেশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বুয়েনস আইরেস (আর্জেন্টিনা) শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩২
Share:

আপাতত যুদ্ধবিরতি। বুয়েনস আইরেসে, শনিবার। ছবি- এএফপি।

যুদ্ধ ও পাল্টা যুদ্ধের হুমকির পর এ বার ‘শান্তি, শান্তি’! তিন মাসের জন্য, আপাতত। হুমকির সুর নামালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জমি কিছুটা ছাড়তে রাজি হলেন চিনের প্রেসিডেন্টও।

Advertisement

চিন ও আমেরিকার মধ্যে শুল্ক যুদ্ধে তিন মাসের জন্য বিরতি ঘোষণা করলেন দু’দেশের প্রেসিডেন্ট। শি চিনফিংয়ের হাতে হাত মিলিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাঁর দেশে ঢোকা চিনা পণ্যের উপর আর বাড়তি শুল্ক চাপানো হবে না। বরং কী ভাবে চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধে দাঁড়ি টানা যায়, আগামী তিন মাসে তা নিয়ে আলোচনায় বসবে দু’টি দেশ। এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, পয়লা জানুয়ারি থেকেই তাঁর দেশে যাওয়া চিনা পণ্যগুলির উপর আরও বেশি হারে শুল্ক চাপাবেন। মার্কিন মুলুকে ঢোকা চিনা পণ্যগুলির উপর হালে ১০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পয়লা জানুয়ারি থেকে তা বেড়ে ২৫ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল।

ট্রাম্পকে তাঁর সুর নরম করানোর জন্য অবশ্য জমি ছাড়তে হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকেও। শি জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসে মার্কিন মুলুকে চিনা পণ্য রফতানির পরিমাণ অনেকটাই বাড়ানো হবে। চিনের বাজারে ঢুকতে মার্কিন সংস্থাগুলিকে আর বাধা দেওয়া হবে না। মার্কিন সংস্থাগুলির মেধাসত্ত্ব যাতে চিনা মুলুকে চুরি না হয়ে যায়, বেজিং তার উপরেও নজর রাখবে।

Advertisement

আরও পড়ুন- ভিসায় বদলের প্রস্তাব​

আরও পড়ুন- আর্থিক অন্যায় রোখার বার্তা দিলেন মোদী

জি-২০ বৈঠকের শেষ দিনের অধিবেশনের ফাঁকে, শনিবার বুয়েনস আইরেসে নৈশভোজে আর্জেন্টিনার সেরা পানীয়ে চুমুক দিতে দিতেই শুল্ক যুদ্ধের বিরতি ঘোষণায় রাজি হয়ে যান ট্রাম্প ও চিনফিং।

বৈঠকের পর ওয়াশিংটন রওনা হওয়ার আগে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘একটা দুর্দান্ত বৈঠক হল। যা আমেরিকা ও চিন, দু’টি দেশের জন্যই অনেক ভাল কিছু হওয়ার অসংখ্য সম্ভাবনার জন্ম দিল।’’

এর কিছু পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় সায় দেয় বেজিং। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াঙ ই বুয়েনস আইরেসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এর ফলে যে শুধুই চিন ও আমেরিকার মানুষই উপকৃত হতে চলেছেন, তা নয়; এতে ভাল হবে গোটা বিশ্বেরই অর্থনীতির।’’

পরে হোয়াইট হাউসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘তিন মাসের মধ্যে আলোচনায় কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে না এলে আমেরিকায় ঢোকা চিনা পণ্যগুলির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন