দুর্ভিক্ষের কবলে দক্ষিণ সুদান। খরার জেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সোমালিয়ায়। ধুঁকছে নাইজেরিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, শুধু এই তিন দেশ মিলিয়ে অনাহারে মৃত্যু হতে পারে অন্তত দেড় কোটি মানুষের। তাই এমন অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা যদি সত্যিই অনুদান পাঠানো বন্ধ করে দেয়, তা হলে সঙ্কট আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। কংগ্রেসে পাশ হয়ে গেলে, তা সারা বিশ্বে শরণার্থী সঙ্কট বাড়াবে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস জানান, আফ্রিকার এই তিন দেশের পরিস্থিতির সামাল দিতে মাের্চর মধ্যে অন্তত ৪৪০ কোটি ডলার অনুমোদন প্রয়োজন। অথচ এখনও তার ১০ শতাংশও আসেনি। তথ্য বলছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের ডাকে এত দিন আফ্রিকার মতো দেশের জন্য হাত উপুড় করে এসেছে আমেরিকা। প্রসিডেন্ট হয়ে এর ঠিক উল্টো পথে হাঁটতে চাইছেন ট্রাম্প। ঘরে বরাদ্দ বাড়িয়ে বিদেশিদের জন্য অনুদান ছাঁটতে চাইছেন তিনি। তাঁর সেই বাজেট-প্রস্তাবেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে আফ্রিকা।