International News

ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞায় আদালতের স্থগিতাদেশ

আমেরিকাগামী শরণার্থীদের আপাতত স্বস্তি মিলল। আমেরিকায় শরণার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ জারি করল এক মার্কিন আদালত। পাশাপাশি, প্রশাসনিক নির্দেশের পর যে সমস্ত শরণার্থীদের আটক করা হয়েছে তাঁদের নামের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরির আদেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার আদালতের এই রায়ের ফলে বৈধ ভিসাধারী-সহ শরণার্থী হিসাবে আবেদনকারীদের আমেরিকায় ঢোকায় আপাতত আর কোনও বাধা রইল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ১১:৪৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

আমেরিকাগামী শরণার্থীদের আপাতত স্বস্তি মিলল। আমেরিকায় শরণার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ জারি করল এক মার্কিন আদালত। পাশাপাশি, প্রশাসনিক নির্দেশের পর যে সমস্ত শরণার্থীদের আটক করা হয়েছে তাঁদের নামের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরির আদেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার আদালতের এই রায়ের ফলে বৈধ ভিসাধারী-সহ শরণার্থী হিসাবে আবেদনকারীদের আমেরিকায় ঢোকায় আপাতত আর কোনও বাধা রইল না।

Advertisement

গত শুক্রবার এক প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে আমেরিকায় শরণার্থীদের ঢোকা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা ছাড়া, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের মতো সাত মুসলিম-অধ্যুষিত দেশের নাগরিকদের আগামী ৯০ দিন আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে আশ্চর্যের কথা হল, এই দেশগুলির নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, শরণার্থী হিসাবে ভবিষ্যতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর পরই জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-সহ আমেরিকার বিভিন্ন বিমানবন্দরে প্রায় দু’শো শরণার্থীকে আটক করা হয়। বৈধ ভিসা বা প্রয়োজনীয় পারমিট থাকা সত্ত্বেও অনেকে আমেরিকায় পা রাখতে পারেননি। এমনকী, যাঁরা আমেরিকাগামী বিমানে উঠেছিলেন তাঁদেরও বিমানবন্দরে পা রাখামাত্র আটক করা হয়।

আরও পড়ুন

Advertisement

দরজা বন্ধ আমেরিকার, নিষিদ্ধ সাত দেশ, নিন্দার ঝড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের এই নির্দেশের পরই সমালোচনায় মুখর হয় গোটা বিশ্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু মানুষ। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন গুগ্‌ল-এর সিইও সুন্দর পিচাই, ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ ও নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই-এর মতো ব্যক্তিত্বরা। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে শনিবার মামলা করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ এডুকেশন (এসিএলইউ) নামে এক মার্কিন সংগঠন। সেই মামলার রায়ে আমেরিকায় এক প্রাদেশিক আদালতের বিচারক অ্যান ডনেলির এই রায় দিয়েছেন। বিচারক অ্যান ডনেলি জানিয়েছেন, এই ধরনের নির্দেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের অপূরণীয় আঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাম্পের নির্দেশের পর বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।

এ দিনের রায় শোনার পরই আদালতের বাইরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বহু মানুষ। মামলার এক আইনজীবী ইমিগ্র্যান্টস রাইটস প্রজেক্টের ডেপুটি লিগাল ডিরেক্টর লি গিলার্ন্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্পের ওই নির্দেশের পর অনেককে বিমানে উঠিয়ে নিজেদের দেশের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত শনিবার পাঁচ জন ইরাকি যাত্রী-সহ এক জন ইয়েমেনি নাগরিককে কায়রোতে নিউ ইয়র্কগামী বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে আটকদের তালিকা সংগ্রহ করে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন লি গিলার্ন্ট। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনিক নির্দেশেকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সকলের অধিকার রক্ষায় আদালত রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন