মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যেখানে গায়ের জোর অনেকটাই বেশি রিপাবলিকানদের, সেই কংগ্রেসেই কুপোকাৎ হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৫টি ভোট কম পেয়ে খারিজ হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পছন্দের স্বাস্থ্য বিল। ফলে, গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই তাঁর দলের শক্ত ঘাঁটি মার্কিন কংগ্রেসে পর্যুদস্ত হতে হল ট্রাম্প প্রশাসনের আনা স্বাস্থ্য বিলটিকে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন ফতোয়া ও তার সংশোধনীটির ওপরেও দু’-দু’বার স্থগিতাদেশ জারি করেছে মার্কিন আদালত। ফলে, তাঁর নির্বাচনী প্রচারে যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প, তার কোনওটিই রাখতে পারলেন না নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অভিবাসন ফতোয়া আটকালো আদালত। আর তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাধের স্বাস্থ্য বিলটিকে রুখে দিলেন কংগ্রেসে। ওই বিলের কট্টর বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের যা সাধ্যে কুলোতো না, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায়, তাঁদের সেই সাধ পূরণ করে দিলেন শাসক দল রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্যরা। বিলটি পাশ করানোর জন্য দরকার ছিল কমপক্ষে ২১৬টি ভোট।
বিলটি কংগ্রেসে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হতাশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘কী ভাবে আস্থা অর্জন করতে হয় কংগ্রেসের, তা এই ঘটনার পর শিখলাম। কী ভাবে কংগ্রেসে কোনও বিলকে জেতাতে হয়, এই ঘটনার পর সেই শিক্ষাও হল আমাদের!’’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আনা স্বাস্থ্য বিলটি এ দিন কংগ্রেসে খারিজ হয়ে যাওয়ায় সাত বছর আগে তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্য নীতি ‘ওবামাকেয়ার’ই বহাল থাকল। অথচ, ২০১০ সাল থেকেই ওই ‘ওবামাকেয়ার’-এর লাগাতার বিরোধিতা করে গিয়েছেন রিপাবলিকানরা।
তা হলে কেন এই ফলাফল?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁর স্বাস্থ্য বিলে করছাড় সংক্রান্ত যে সব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা বেশির ভাগ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যেরই পছন্দ হয়নি
আরও পড়ুন- লন্ডন হামলার পিছনে আরও বড় চক্র, বলছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড