usa

সেনেটে ইমপিচমেন্ট মামলার শুনানির আগে ৫ আইনজীবীই সঙ্গ ছাড়লেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভর্ৎসনার দ্বিতীয় শুনানি শুরু হবে সেনেটে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:৫০
Share:

সেনেটে মামলার শুনানি শুরুর আগে অস্বস্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প। -ফাইল ছবি।

আর সপ্তাহ দু’য়েকও নেই। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিমেন্টের দ্বিতীয় শুনানি শুরু হবে সেনেটে। তার আগেই ট্রাম্পকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁর ৫ জন আইনজীবী। শোনা যাচ্ছে, কী ভাবে মামলা লড়বেন, তা নিয়ে ট্রম্পের সঙ্গে তাঁদের বনিবনা হয়নি বলেই ট্রাম্পের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, আইনজীবীরা তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন খুবই অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্প। হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন অন্য আইনজীবীর। যাঁরা তাঁর হয়ে সেনেটে সওয়াল করবেন ইমপিচমেন্ট মামলার শুনানিতে। যা শুরু হবে ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে।

ট্রাম্পের আইনজীবীদের মধ্যে যাঁদের মুখ্য ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল সেনেটে ইমপিচমেন্ট মামলার শুনানিতে, সেই বাচ বাওয়ার্স ও ডেবোরা বার্বিয়ার ইতিমধ্যেই মামলা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। নর্থ ক্যারোলিনার অ্যাটর্নি জোশ হাওয়ার্ডও সরে গিয়েছেন বলে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের আইনজীবীদের দলে থাকা সাউথ ক্যারোলিনার দুই অ্যাটর্নি জনি গ্যাসার ও গ্রেগ হ্যারিসও মামলা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা ট্রাম্পকে মৌখিক ভাবে জানিয়েও দিয়েছেন।

Advertisement

ট্রাম্প যখন সেনেটে ইমপিচমেন্ট মামলার শুনানিতে তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য হন্যে হয়ে আইনজীবী খুঁজে চলেছেন, তখন কোনও আইনজীবীই তাঁর হয়ে লড়ার কথা ঘোষণা করেননি এখনও পর্যন্ত। বরং সকলেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এরই মধ্যে সেনেটে ইমপিচমেন্টের শুনানির আগে রিপাবলিকান শিবিরও দ্বিধাবিভক্ত। সেনেটে মাইনরিটি হুইপ, তথা রিপাবলিকানদের দুই নম্বর নেতা জন টিউন বলেছেন, ‘‘ক্যাপিটলে হামলা এবং নির্বাচন পরের পরিস্থিতি যে ভাবে ট্রাম্প সামলেছেন, তা একেবারেই ঠিক হয়নি। যে ধরনের কথাবার্তা তিনি বলেছেন এবং যে ধরনের কাজ করেছেন, তা দলের অনুমোদন নিয়ে হয়নি।’’

তা হলে কি ট্রাম্প ভোট চুরির যে অভিয়োগ করেছিলেন, তা ভুয়ো? এর স্পষ্ট জবাব দেননি জন। বলেন, ‘‘এটা খুব ভাল প্রশ্ন। আমি শুধু বলতে পারি, সত্যি কী, তা আইনই নির্ধারণ করবে।’’

তা হলে কি রিপাবলিকান সেনেটাররা ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট মামলায় বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে হাত মেলাবে? এখানেই রিপাবলিকান শিবিরের দ্বিধাবিভক্ত ছবিটা প্রকাশ্যে আসছে। অনেকে ডেমোক্যাটদের সঙ্গে হাত মেলালেও টেক্সাসের সেনেটর জন করনিনের মতো অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প চূড়ান্ত সাজা পেয়েছেন জনাদেশেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট অর্থহীন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন