পুতিনের চোখরাঙানিকে অগ্রাহ্য করে রাশিয়াকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করল তুরস্ক। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট এরদোগান দাবি করেন, রাশিয়া যদি তাদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বাণিজ্য-সম্পর্কের দাবি প্রমাণ করতে পারে তবে তিনি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, দাবি প্রমাণে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
প্যারিসে হামলার পরই সিরিয়ার মাটি থেকে আইএস ঘাঁটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। আইএস-এর আগ্রাসন ঠেকাতে সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও আমেরিকা ঘনিষ্ঠ দেশ-সহ তুরস্ক তা ভাল চোখে নেয়নি। গত ২৪ নভেম্বর তুরস্কের আকাশপথে একটি রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে তাদের সেনা। রাশিয়ার দাবি ছিল, আইএস-এর থেকে তেল কিনে আর্থিক ভাবে তাদেরই হাত শক্ত করছে তুরস্ক। নিজেদের বাঁচাতেই রাশিয়ার ‘সু-২৪’ যুদ্ধবিমানটি ধ্বংস করেছে আঙ্কারা। পাল্টা হিসাবে তুরস্কের দাবি ছিল, হাতারি প্রদেশের সীমান্তবর্তী ইয়ায়লাদাগি এলাকার আকাশপথে ঢুকে পড়েছিল ওই যুদ্ধবিমানটি। বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও তা তুরস্কের সীমানা থেকে বেরোয়নি। যদিও রাশিয়ার দাবি ছিল, বিমানটি সিরিয়ার আকাশপথেই ছিল। ওই ঘটনায় নিহত হন রাশিয়ার এক বিমানচালক।
পড়ুন: রুশ-তুরস্কের বিবাদ জারি, মুখোমুখি পুতিন-ওঁলাদ
• আগুন নিয়ে খেলবেন না, পুতিনকে হুঁশিয়ারি তুরস্কের
• রুশ পাইলটের দেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে তুরস্ক
• তুরস্কের গোলায় ধ্বংস রুশ যুদ্ধবিমান
গোটা বিষয়টি নিয়ে এর পরেই পুতিন ও এরদোগানের মধ্যে বাক্-যুদ্ধ শুরু হয়। পুতিনের দাবি, জঙ্গিদের সাহায্য করতেই পিছন থেকে তাদের ছুরি মেরেছে তুরস্ক। এমনকী, আইএস-এর থেকে তেল কিনে জঙ্গিদেরই সাহায্য করছে তারা। এ দিন রিসেপ তাইপ এরদোগান পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “কোনও কিছু বলার পর তা প্রমাণও করা উচিত।”