বালোচিস্তানে বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত।
টহলদারি গাড়িতে বিস্ফোরণে পাক উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন বালোচিস্তানে। সোমবার রাতে জিওয়ানি জেলায় আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম দুই উপকূলরক্ষীর আঘাত গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার পিশিন জেলায় একটি বেসরকারি শিল্পসংস্থার গাড়িতে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই কোম্পানির এক শীর্ষকর্তা এবং গাড়ির চালক। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ বালোচিস্তানের বোলানে আইইডি বিস্ফোরণে পাক সেনার গাড়ি উড়ে গিয়েছে। নিহত হয়েছেন সাত জন সেনা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলা চালিয়েছে বলে পাক পুলিশের দাবি। জিওয়ানির দাশত নালা এলারাক পাক উপকূলরক্ষী বাহিনীর রুটিন টহলদারির রাস্তার পাশে আইইডি পুঁতে দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। অন্য দিকে, পিশিনে রাস্তার পাশে একটি মোটরবাইকে বিস্ফোরক রাখা ছিল। সম্ভবত সেটি ছিল টাইমবোমা। বোলানেও মাটির তলায় বিস্ফোরক ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান।
গত কয়েক মাসে কাচ্চি বোলানে ট্রেন ছিনতাই, কোয়েটায় আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ, নোশকিকে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলার মতো নতুন কৌশলে হানাদারি চালিয়েছে বিএলএ। সেনা কনভয় এবং রাজনৈতিক নেতাদের গাড়িতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তারা। এ বার তার দূর নিয়ন্ত্রক বিস্ফোরণ ঘটাল। এর আগে সোমবার সকালে গ্বদর এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছ’জন আধাসেনাকে খুনের দাবি করেছিল বিএলএ। কিন্তু মঙ্গলবার বোলান বা জিওয়ানিতে হামলার দায় স্বীকার করেনি তারা।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাতের আবহেই পর পর আঘাত হানছে স্বাধীনতাপন্থী বালোচ বিদ্রোহীরা। গত ২৫ এপ্রিল বালোচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটার অদূরে মার্গেটে বিএলএ-র ল্যান্ডমাইন হামলায় পাক ফৌজের এক অফিসার-সহ ১০ সেনা নিহত হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, মার্চ মাসের গোড়াতেই অন্য দুই সশস্ত্র বালোচ গোষ্ঠী, বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) ও বালোচ রিপাবলিকান গার্ডস (বিআরজি) এবং সিন্ধুপ্রদেশে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠন ‘সিন্ধুদেশ রেভলিউশনারি আর্মি’র (এসআরএ) সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন যৌথমঞ্চ গড়েছে বিএলএ। ইসলামাবাদের অভিযোগ, ভারতের তৎপরতাতেই একজোট হচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি।