পরীক্ষা: ভোট প্রচারে স্বামীর সঙ্গে টেরেসা মে। ছবি: এএফপি।
মাসখানেক আগেও ভাবেননি, এ রকম হতে পারে!
কাল ভোট ব্রিটেনে। নির্বাচন বিশ্লেষকেরা বলছেন, এগিয়ে টেরেসা মে-ই। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর মনে। কেন?
এপ্রিলের শেষে যখন পার্লামেন্ট ভেঙে ভোট এগিয়ে আনার ঘোষণা করেন টেরেসা, তখন লেবার পার্টির জেরেমি করবিনের থেকে কুড়ি পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন তিনি। এখন সেই ব্যবধান কমে চার পয়েন্টে ঠেকেছে।
প্রথম থেকেই বিপক্ষ নেতাকে কোনও আমলই দেননি মে। আর সেই সুযোগটারই পুরো সদ্ব্যবহার করেছেন করবিন। ভোট দৌড়ের এই কালো ঘোড়া গত এক মাস ধরে চুটিয়ে প্রচার করেছেন, দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরেছেন, যে কেন্দ্রগুলো শক্ত লেবার ঘাঁটি সেখানে একাধিক বার গিয়েছেন, আবার যে কেন্দ্রের ভোটাররা কনজারভেটিভ-পন্থী বলে পরিচিত, সেখানেও সময় দিয়েছেন প্রচুর। বাচ্চাদের পার্কে গিয়ে সময় কাটিয়েছেন, দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের দরজায় কড়া নেড়ে প্রচার চালিয়েছেন।
মে মাসের মাঝামাঝি লেবার পার্টির ইস্তেহার প্রকাশের সময়ে আরও স্পষ্ট হয়ে যায়, জনমোহিনী নীতির পথেই হাঁটছেন করবিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি মকুব, ২ থেকে ৪ বছরের বাচ্চাদের জন্য বিনামূল্যে শিশু পরিষেবা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে পুরোপুরি সরকারের দায়িত্বে নিয়ে আসা, এ রকম বিস্তর প্রতিশ্রুতি ছিল লেবার ইস্তেহারে। তাঁর দল জিতলে উচ্চবিত্ত ও কর্পোরেট সংস্থার উপরে আরও কর চাপিয়ে এই বিপুল বাড়তি খরচের জোগান দেবেন তিনি, এ রকম আশ্বাসও দিয়েছেন করবিন।
আরও পড়ুন: তেহরানে হানা কি ট্রাম্পের ছকে ধাক্কা
লেবার ইস্তেহারে যেখানে এত ভূরিভূরি ‘উপহার’, সেখানে কনজারভেটিভ ইস্তেহারের সুর ছিল বিপরীত। টেরেসা প্রস্তাব দিয়েছেন, বিনামূল্যে স্কুলে খাবারের পরিবর্তে শুধু নিম্নবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের বিনা পয়সায় জলখাবার দেওয়া হোক। সব বয়স্ক মানুষকে আর বার্ধক্যভাতা না দিয়ে শুধু দরিদ্রদের জন্যই এই ভাতা চালু করার
প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। দু’টি প্রস্তাবই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। আজ যার ফল ভুগতে হতে পারে কনজারভেটিভ দলকে। যদি তাই হয়, তা হলে তা হবে ব্রিটিশ রাজনীতির অন্যতম ‘অঘটন’।