কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালাল ট্যাঙ্কারে। ছবি: রয়টার্স।
তুরস্কের উপকূলের কাছে কৃষ্ণসাগরে দু’টি পণ্যবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনের গুপ্তচর সংস্থা এসবিইউ এবং ইউক্রেনের নৌসেনার যৌথ অভিযানে ওই দু’টি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে। কিভের দাবি, ওই দু’টি জাহাজাই রাশিয়ার তেল রফতানির জন্য ছায়া বহর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। যদিও প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় পর্যন্ত মস্কোর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
পশ্চিমি দেশগুলি নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল রফতানি ধাক্কা খেয়েছে। এ অবস্থায় রাশিয়া নিজেদের তেল রফতানির জন্য কিছু ছায়া বহরের ব্যবহার করছে বলে আগেও অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। কিভের দাবি, এই ছায়া বহরকে ব্যবহার করে তেল বিক্রি করে সেই অর্থ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে ক্রেমলিন। শনিবার কিভের গুপ্তচর সংস্থার এক আধিকারিক জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী দু’টি ট্যাঙ্কারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই দু’টি ট্যাঙ্কারই রাশিয়া তেল রফতানির জন্য ব্যবহার করত।
দু’টি ট্যাঙ্কারকে ইতিমধ্যে চিহ্নিতও করেছে ইউক্রেন। এসবিইউ জানাচ্ছে, ওই দু’টি ট্যাঙ্কারের নাম বিরাট এবং কাইরোস। তাদের দাবি, হামলার সময়ে দু’টি জাহাজই খালি ছিল। সেগুলি তখন রাশিয়ার নোভোরোসসিস্ক বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। রাশিয়ার তেল রফতানির জন্য ব্যবহৃত বন্দরগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
তুরস্কের বসফরাস প্রণালীর কাছেই ওই দু’টি জাহাজে হামলা হয়েছে। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার দু’টি জাহাজে হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে জাহাজে আগুন ধরে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। যদিও কোন সময়ে এই হামলা হয়েছিল, তা নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানাননি ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ। হামলার বেশ কিছু ভিডিয়োয় ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ইউক্রেনের এক আধিকারিকের কথায়, “ভিডিয়ো (ফুটেজে) দেখা যাচ্ছে, হামলার পরে দু’টি ট্যাঙ্কারই গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি রুশ তেল পরিবহণের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য আঘাত।”
পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়া এমন প্রায় কয়েকশো ট্যাঙ্কার ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, নজর এড়াতে নিজেদের সুবিধা মতো বিভিন্ন দেশের পতাকা ব্যবহার করা হয় এই ট্যাঙ্কারগুলিতে। তুরস্কের পরিবহণ মন্ত্রক জানাচ্ছে, বিরাট নামের ট্যাঙ্কারটিতে গাম্বিয়ার পতাকা লাগানো ছিল। গত শুক্রবার প্রথম হামলা হয়েছিল সেটির উপর। শনিবার ফের ওই ট্যাঙ্কারে হামলা চলে বলে জানাচ্ছেন তুরস্কের কর্তৃপক্ষ।