নিকি হ্যালি। ছবি: এএফপি
ইউনেস্কোর পর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকেও সরে দাঁড়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি ও বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। আমেরিকার অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি)‘পক্ষপাতদুষ্ট’।
মানবাধিকার পরিষদের হাই কমিশনার জাইদ রাদ আল-হুসেইন ওয়াশিংটনকে এই সিদ্ধান্ত রদের আহ্বান জানিয়েছেন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপকে স্বাগত’।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, মানবাধিকার পরিষদের তালিকায় এমন দেশও রয়েছে যারা নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত। এই প্রসঙ্গেই ইজরায়েলের কথা তোলার চেষ্টা করে আমেরিকা। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও মার্কিন প্রচেষ্টা বিফল করে দেয় কিউবা, মিশর, রাশিয়া ও চিন। তাই পরিষদ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকা জানিয়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে বারবার অনুরোধের পরও রাষ্ট্রপুঞ্জ সদস্য তালিকায় কোনওরকম সংস্কার করেনি।মানবাধিকার পরিষদের সদস্য তালিকায় সংস্কার নিয়ে নিউইয়র্ক ও জেনিভায় আমেরিকা ও রাষ্ট্রপুঞ্জ সদস্য দেশগুলির মধ্যে কয়েক মাসের আলোচনার পর এই পদক্ষেপ করেছে আমেরিকা।
আরও খবর:মার্কিন মুলুকে অন্য ছবি বানাচ্ছেন ঋত্বিকের নাতনি
মার্কিন সেনার নতুন শাখা, মহাকাশ বাহিনী গড়ছেন ট্রাম্প
মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। গত বছরই পরিষদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল ওয়াশিংটন। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে এ বছরের পরিষদে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এতেই সম্মত নয় আমেরিকা।
একের পর এক আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ানো মতো ঘটনাকে ট্রাম্পের হঠকারিতা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।একাধিক অভিযোগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় ট্রাম্প প্রশাসন।