নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশযান নেমে আসছে পৃথিবীতেই

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছনোর কথা ছিল ৩০ এপ্রিল। মঙ্গলবার ঠিকঠাক উৎক্ষেপণও হয়েছিল ‘প্রোগ্রেস এম-২৭ এম’ মহাকাশযানের। কিন্তু তার কিছু পরেই সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাশিয়ার এই মহাকাশযানটির সঙ্গে। বুধবার সংশ্লিষ্ট এক অফিসার জানিয়েছেন, চালকবিহীন মহাকাশযানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। যে কোনও সময়ে পৃথিবীতে নেমে আসতে পারে সে। কিন্তু, পৃথিবীর কোথায় পড়তে পারে মহাকাশযানটি? আর কখনই বা হতে পারে এই দুর্ঘটনা সে বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। এই ঘটনা যে আদৌ ঘটেছে তা-ই মানতে চাইছেন না তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মস্কো শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩০
Share:

উত্‌ক্ষেপণের সময়ে এম-৩৭। ছবি: এএফপি।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছনোর কথা ছিল ৩০ এপ্রিল। মঙ্গলবার ঠিকঠাক উৎক্ষেপণও হয়েছিল ‘প্রোগ্রেস এম-২৭ এম’ মহাকাশযানের। কিন্তু তার কিছু পরেই সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাশিয়ার এই মহাকাশযানটির সঙ্গে। বুধবার সংশ্লিষ্ট এক অফিসার জানিয়েছেন, চালকবিহীন মহাকাশযানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। যে কোনও সময়ে পৃথিবীতে নেমে আসতে পারে সে।

Advertisement

কিন্তু, পৃথিবীর কোথায় পড়তে পারে মহাকাশযানটি? আর কখনই বা হতে পারে এই দুর্ঘটনা সে বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। এই ঘটনা যে আদৌ ঘটেছে তা-ই মানতে চাইছেন না তাঁরা।

একটি সোয়ুজ রকেট বিভিন্ন সামগ্রী-সহ এই ‘প্রোগরেস এম-২৭ এম’ মহাকাশযানটিকে মঙ্গলবার সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করেছিল। রাশিয়ার এই মহাকাশযানটির জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অপেক্ষাও করছিলেন ছ’জন। কিন্তু ওড়ার কিছু পরেই ঘটে বিপত্তি। সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার সঙ্গে। আর এখন সে নাকি আবার ফিরতি পথে নেমে আসছে পৃথিবীর বুকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার বলেছেন, ‘‘ওটা (মহাকাশযান) নামতে শুরু করে দিয়েছে। ওর আর কোথাও যাওয়ার নেই।’’ মহাকাশযানটির মধ্যে কোনও নিয়ন্ত্রণহীন কার্যকলাপ যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আর তার ফলেই এই বিপত্তি— সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওই অফিসার। কিন্তু রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে মিখাইল ফাদেইভ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল, মহাকাশযানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন হয়তো মহাকাশযানটি একেবারেই হারিয়ে যাবে।

Advertisement

তবে মহাকাশ গবেষণায় রাশিয়ার এই ব্যর্থতা নতুন নয়। যদিও ১৯৬১ সালে মহাকাশে প্রথম মানুষ পাঠিয়ে বিশ্বের নজর কেড়েছিল রাশিয়া, কিন্তু বর্তমানে সেই রাশিয়ারই মহাকাশ গবেষণায় পর পর মুখ পুড়ছে। বহু মূল্যবান উপগ্রহ ছাড়ার ক্ষেত্রে কিছু দিন আগেই ব্যর্থতা দেখিয়েছে রাশিয়া। এমনকী ২০১১ সালে ঠিক এই রকমই একটি ‘প্রোগ্রেস’ মহাকাশযান পাঠাতে গিয়েও ব্যর্থতার মুখে পড়েছিল রাশিয়া। আর সেই কারণেই হয়তো এখন নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে চাইছে না রাশিয়া।

১৯৭৯ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পারথের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার প্রথম মহাকাশ কেন্দ্র ‘স্কাইল্যাব’। কিন্তু ‘প্রোগ্রেস’-যে কখন, কোথায় নেমে আসবে তা জানেন না কেউই। এখন সে দিকেই নজর সবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন