প্রতীকী ছবি।
অবিবাহিত যুগল। তাঁদের মেয়ে হয়েছে। বাবা-মা সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছেন আল্লা। কিন্তু এই নামকরণ কিছুতেই মেনে নিতে রাজি নয় আমেরিকার জর্জিয়া প্রদেশের প্রশাসন। জন্মের শংসাপত্র আটকে দিয়েছে জনস্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু বিলাল-এলিজাবেথ বদ্ধপরিকর— আল্লাই নাম হবে মেয়ের। ফুলটন কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে মামলা শুরু হয়েছে নাম নিয়ে।
জালিখা গ্রেসফুল লোরাইনা আল্লা— এই হল বিলাল আসিম ওয়াক এবং এলিজাবেথ হ্যান্ডির কন্যাসন্তানের নাম। মেয়ে হওয়ার পর তার জন্ম শংসাপত্র নেওয়ার জন্য যে ফর্ম ফিলআপ করেছেন বিলাল-এলিজাবেথ, সেই ফর্মেও এই নামই লিখেছেন তাঁরা। পদবীর জায়গায় আল্লা শব্দটি লেখা হয়েছে। কিন্তু জর্জিয়ার জনস্বাস্থ্য দফতর সেই ফর্মটি বাতিল করে দিয়েছে। দফতরের কর্তারা বলছেন, আল্লা কারও পদবী হতে পারে না। মেয়ের পদবীর জায়গায় হয় বিলালের পদবী ‘ওয়াক’ লিখতে হবে, অথবা এলিজাবেথের পদবী ‘হ্যান্ডি’ লিখতে হবে। চাইলে দু’টি পদবী এক সঙ্গেও লেখা যেতে পারে। কিন্তু আল্লা লেখা যাবে না।
বাতিল হয়ে গিয়েছে ফর্ম। ছবি: সংগৃহীত।
২২ মাস বয়স হয়ে গিয়েছে বিলাল-এলিজাবেথের মেয়ের। কিন্তু নাম-পদবী নিয়ে টানাপড়েনের জেরে এখনও জন্মের শংসাপত্র মেলেনি। মেয়ের পদবীর জায়গায় আল্লা শব্দটি রাখতে বদ্ধপরিকর বিলাল ও এলিজাবেথের নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে সমাধান সূত্র বাতলে দিয়েছে প্রশাসনই। বলা হয়েছে, জন্মের শংসাপত্রে বাবা-মায়ের পদবী রাখা হোক। শংসাপত্র হাতে এলেই সোশ্যাল সিকিওরিটি নাম্বার পাওয়া যাবে। তার পর আদালতে গিয়ে বিলাল আর এলিজাবেথ মেয়ের পদবী বদলে আল্লা করে নিতে পারবেন। কিন্তু জন্ম সংক্রান্ত রেকর্ড রাখার জন্য জন্মের শংসাপত্রে বাবা বা মায়ের পদবী থাকা খুব জরুরি।
আরও পড়ুন: সদ্যজাত কন্যাসন্তান উদ্ধার বালির গর্তে, তখনও অক্ষত নাড়ি
অবিবাহিত বাবা-মা প্রশাসনের এই পরামর্শ মানতে রাজি নন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলের নাম মাস্টারফুল মোসিরা আলি আল্লা। অতএব মেয়ের নামেও প্রথম থেকেই আল্লা শব্দ রাখতে দিতে হবে।
বিলাল আসিম ওয়াকের কথায়, ‘‘এটা সরাসরি অন্যায় হচ্ছে এবং আমাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে।’’ অধিকার অর্জনের লড়াইতে তিনি পাশে পেয়ে গিয়েছেন আমেরিকার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নকে। বিলাল-এলিজাবেথের হয়ে আইনি লড়াই শুরু করেছে ওই সংগঠনটিই।