US Deportation Reversed

জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন! চার বছর বয়সি শিশুকে বিতাড়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন

চার বছর বয়সি এক শিশুর চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। সম্প্রতি ওই পরিবারের আমেরিকায় থাকার আইনি অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে পরে সিদ্ধান্ত বদল করে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১৪:২৭
Share:

মেক্সিকোর শিশু ও তার মাকে ‘মানবিক প্যারোলে’ আরও এক বছর থাকার অনুমতি দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত।

চার বছর বয়সি এক শিশুকে দেশ থেকে এখনই বিতাড়িত করছে না আমেরিকা। ছোট্ট সোফিয়া (নাম পরিবর্তিত, শিশুর পরিবারের আইনজীবীরা এই পরিবর্তিত নামটিই ব্যবহার করেছেন) জন্মসূত্রে মেক্সিকোর নাগরিক। ক্ষুদ্রান্ত্রের জটিল সমস্যা রয়েছে তার। বর্তমানে দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সোফিয়ার। কয়েক সপ্তাহ আগে আমেরিকার প্রশাসন জানিয়েছিল, তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হতে পারে। তবে ওই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সোফিয়া এবং তার মাকে ‘মানবিক প্যারোলে’ আরও এক বছর আমেরিকায় থাকার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের ‘হোমল্যান্ড সিকিওরিটি’ দফতর।

Advertisement

সোফিয়ার চিকিৎসার জন্য ২০২৩ সালে মেক্সিকো থেকে তাকে নিয়ে আমেরিকায় আসেন তার মা ডেইসি ভার্গস। ডেইসির স্বামীও ওই সময়ে আসেন তাঁদের সঙ্গে। সেই থেকেই ক্যালিফর্নিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সোফিয়ার। কিন্তু গত এপ্রিল-মে মাসে ওই অসুস্থ শিশুর বাবা-মাকে নোটিস পাঠায় আমেরিকার প্রশাসন। তাদের জানানো হয়, পরিবারের ‘মানবিক প্যারোল’ প্রত্যাহার করা হচ্ছে এবং তাঁদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হতে পারে।

বস্তুত, জো বাইডেনের জমানায় কিছু অভিবাসীকে আমেরিকার থাকার জন্য সাময়িক আইনি ছাড়পত্র দেওয়া হয় এই ‘মানবিক প্যারোল’-এর মাধ্যমে। সাধারণত এর মেয়াদ থাকে দু’বছর, এই এই প্যারোলে আমেরিকায় আসা অভিবাসীরা নাগরিকত্বের আর্জি জানাতে পারেন না।

Advertisement

সোফিয়ার ক্ষুদ্রান্ত্র নিজে থেকে কোনও খাবারের পুষ্টিগুণ শোষণ করতে পারে না। আমেরিকায় আসার পর প্রথমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছিল। পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও জীবনদায়ী ওষুধের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এখনও ওই হাসপাতাল থেকেই নিতে হয় তাকে। বাইরে থেকে সরাসরি তার শিরায় পুষ্টি প্রবেশ করাতে হয় এবং এর জন্য পিঠে একটি ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে হয় সোফিয়াকে।

ওই মেক্সিকান পরিবারের আইনজীবীরা জানান, সোফিয়ার বেঁচে থাকার জন্য এই চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। এই চিকিৎসা পরিষেবা বর্তমানে মেক্সিকোয় নেই। এখন তাকে দিনে ২৪ ঘণ্টা বাইরে থেকে ওই পুষ্টি নিতে হয়। আজীবন এমন সমস্যা থাকবে না। তবে এখন এটি ছাড়া ওই শিশু বাঁচবে না। সোফিয়ার মা ডেইসি জানান, মেক্সিকোয় থাকাকালীন একটি হাসপাতালেই বন্দি অবস্থায় পড়ে থাকত হত সোফিয়াকে। তবে লস অ্যাঞ্জলসের হাসপাতালে চিকিৎসার পরে এখন তাকে আর সর্বক্ষণ হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় না। ক্যালিফর্নিয়ার বেকার্সফিল্ডে একটি ভাড়াবাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে সে। অন্য শিশুদের মতো পার্কে ঘুরতেও যায় সে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement