এফ-১৬: প্রযুক্তি দিয়ে পাকিস্তানের পাশে আমেরিকা

হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সামরিক খাতে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে দু’দেশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন, শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০১:০৩
Share:

নিরাপত্তা বা সামরিক খাতে ইসলামাবাদকে কোনও রকম সাহায্য করা হবে না বলে ২০১৮ সালের গোড়ায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সন্ত্রাস-দমনে পাকিস্তানের গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে এখনও সরব ওয়াশিংটন।

Advertisement

কিন্তু সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমেরিকা সফর সেরে যাওয়ার পরেই এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি-সহ নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর কথাই ঘোষণা করল ট্রাম্প প্রশাসন।

হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সামরিক খাতে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে দু’দেশে। মার্কিন কংগ্রেসের কাছেও গত কাল সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। চুক্তি মোতাবেক, এ বার থেকে অন্তত ৬০টি সংস্থাকে দিয়ে ওই যুদ্ধবিমানগুলির দেখভাল করাবে পেন্টাগন।

Advertisement

নয়াদিল্লি সরকারি ভাবে মুখ না-খুললেও, এই চুক্তিকে তেমন সুনজরে দেখছে না কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশ। তা হলে কি পাকিস্তানের উপর থেকে সেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল?

উত্তরে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন বিদেশ দফতরের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা বহালই আছে। এখন শুধু আমরা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে এবং দু’দেশের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানকে নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু সাহায্য করব। এতে আমাদের জাতীয় সুরক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিও সুরক্ষিত হবে। উন্নতির সুযোগও থাকছে।’’

তবু একটা খটকা থাকছেই। বালাকোট অভিযানের পরে ভারতের বিরুদ্ধে এই এফ-১৬ যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান।

সূত্রের খবর, সন্ত্রাস দমন ছাড়া অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না, এই শর্তেই পাকিস্তানকে এফ-১৬ বিক্রি করেছিল মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন। কিন্তু

ভারত দাবি করেছিল, উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মিগ বাইসন বিমান নামাতে এফ-১৬ থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ যদিও আগাগোড়া সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। চাপের মুখে সে বার আমেরিকাও এফ-১৬ নিয়ে সবিস্তার তথ্য চেয়েছিল পাকিস্তানের কাছে।

ভারত-পাকিস্তান টানাপড়েনের প্রেক্ষিতে আমেরিকার এই ঘোষণায় তাই অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। যদিও পেন্টাগনের বক্তব্য, এতে কোনও ভাবেই উপমহাদেশে সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হবে না।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পরিচালনায় আমেরিকা যাতে প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়, সে জন্য গোড়া থেকেই দরবার করছিলেন ইমরান। হোয়াইট হাউসের বৈঠকেও ট্রাম্পের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিল

ট্রাম্প প্রশাসন।

তবে একই সঙ্গে, সামরিক পরিবহণে ব্যবহৃত সি-১৭ বিমানে ভারতকেও প্রযুক্তিগত সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন