Elon Musk

কর্মীছাঁটাই বিতর্ক: ‘মাস্কের ইমেলে’র এখনই কোনও জবাব দিতে হবে না! বলল আমেরিকার বিদেশ দফতর

প্রশাসনিক শৃঙ্খলের বাইরে থাকা কারও ইমেলের জবাব দিতে হবে না। এই মর্মে কর্মীদের বার্তা পাঠিয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতর। অন্য প্রশাসনিক সংস্থাগুলিও এই ধরনের বার্তা দিতে শুরু করেছে কর্মীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৮
Share:

জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে ইলন মাস্কের অভিবাদন। তাঁর অভিবাদনের ধরনটি নাৎসি কায়দার বলে দাবি করেন অনেকে। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধান ইলন মাস্কের ইমেলের এখনই কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই মর্মে কর্মীদের বার্তা দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। প্রশাসনিক স্তরের শৃঙ্খলের বাইরে থাকা কারও ইমেলের জবাব না-দিতে বলেছে বিদেশ দফতর। তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই আগেই কর্মীদের ইমেলের বিষয়ে একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানিয়েছে, এ বার আমেরিকার প্রশাসনের অন্য সংস্থাগুলিও একে একে কর্মীদের এই বার্তা দিতে শুরু করেছে।

Advertisement

দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের মাথায় শিল্পপতি মাস্ককে বসান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর জন্য মাস্কের নেতৃত্বাধীন দফতর একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে। এই আবহে গত শনিবার মাস্ক সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। পোস্টের মূল বক্তব্য ছিল, সরকারি কর্মীদের কাছে শীঘ্রই একটি ইমেল যাবে। গত সপ্তাহে তাঁরা কী কাজ করেছেন, তা বোঝানোর জন্য এই ইমেল। পরে আমেরিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতর থেকেও জানানো হয়, সরকারি কর্মীদের কাছে এই ধরনের ইমেল গিয়েছে।

রিপোর্ট অনুসারে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে (স্থানীয় সময়ে সোমবার রাত ১২টার মধ্যে) সরকারি কর্মীদের ইমেলের জবাব দিতে বলা হয়। সমাজমাধ্যমে মাস্ক জানান, কোনও কর্মী রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে না পারলে তা তাঁর ইস্তফা হিসাবে বিবেচনা করা হবে। যদিও কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতরের পাঠানো ইমেলে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের বিষয়ে কিছু উল্লেখ ছিল না। তবে এর পরেই ইমেল ঘিরে মার্কিন সরকারি কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ এবং বিরোধও তৈরি হয়। এই অবস্থায় আমেরিকার বিদেশ দফতর এবং এফবিআই-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে কর্মীদের বলে দেওয়া হচ্ছে, ওই ইমেলের এখনই কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইমেলের জবাব এখনই না-দিতে বলার মধ্যে প্রচ্ছন্ন বার্তাও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এর নেপথ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য সদস্য এবং মাস্কের মধ্যে চাপানউতরের সম্ভাবনা থাকতে পারে।

Advertisement

মার্কিন সরকারি কর্মীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘আমেরিকান ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়’ ইতিমধ্যে ইমেলের জবাব দেওয়া নিয়ে নির্দেশের প্রতিবাদে সরব হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সংগঠনের বক্তব্য, ইমেলের জবাব না-দিলে কর্মীদের ছাঁটাই করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই মাস্কের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement