আমেরিকার সাহায্যে মুক্ত ইরাকের আর এক শহর

লড়াইটা ক্রমেই একতরফা হয়ে উঠছিল। খাবার নেই, জল নেই, মিলছে না ওষুধ এ অবস্থায় আইএস জঙ্গিদের ঠেকিয়ে রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবুও লড়ছিলেন ইরাকের ছোট্ট শহর আমেরলির বাসিন্দারা। অবশেষে এল জয়। শনিবার গভীর রাতে মার্কিন বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রিত হামলা ও কুর্দ বাহিনীর যৌথ অভিযানে মুক্ত হল আমেরলি। পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য আকাশপথে ত্রাণও পাঠিয়েছে মার্কিন বায়ুসেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বাগদাদ শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৮
Share:

লড়াইটা ক্রমেই একতরফা হয়ে উঠছিল। খাবার নেই, জল নেই, মিলছে না ওষুধ এ অবস্থায় আইএস জঙ্গিদের ঠেকিয়ে রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবুও লড়ছিলেন ইরাকের ছোট্ট শহর আমেরলির বাসিন্দারা। অবশেষে এল জয়। শনিবার গভীর রাতে মার্কিন বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রিত হামলা ও কুর্দ বাহিনীর যৌথ অভিযানে মুক্ত হল আমেরলি। পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য আকাশপথে ত্রাণও পাঠিয়েছে মার্কিন বায়ুসেনা।

Advertisement

মাসখানেক ধরে তীব্র দুর্দশায় দিন কাটছিল আমেরলির বাসিন্দাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও হার মানেননি আমেরলির শিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। অস্ত্রশস্ত্র যতটুকু যা ছিল, তা নিয়েই এত দিন জঙ্গিদের সঙ্গে ‘অসম’ লড়াই চালাচ্ছিলেন তাঁরা। মাঝেমধ্যে শুধু আক্ষেপ করতেন। আমেরিকা কেন তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসছে না, কেন ত্রাণ পাঠাচ্ছে না, ইরাকের সরকারই বা কী করে তাঁদের ভুলে যাচ্ছে এই ক্ষোভই ঝরে পড়ত তাঁদের গলায়। তবে তা বলে পিছু হটেননি। শেষমেশ যে সেই অসম লড়াই ব্যর্থ হয়নি, তাতে ভীষণ খুশি আমেরলির লোকজন। মুক্তির আনন্দে রবিবার সেজে উঠেছিল জঙ্গিহানায় বিধ্বস্ত শহর।

শনিবার রাতেই আমেরিকা জানিয়েছিল, ইরাকের অনুরোধ মেনে আমেরলি মুক্ত করতে সীমিত হামলা চালাবে তারাা। ত্রাণও পাঠানো হবে। পরে ত্রাণ বিলির কাজে অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। গভীর রাতে শুরু হয় যৌথ আক্রমণ। পাল্টা জবাব দেয় জঙ্গিরা। রাতভর সে সংঘর্ষ স্বচক্ষে দেখেছেন আমেরলির বাসিন্দারা। সকালের দিকে আশপাশের এলাকা ছেড়ে পিছু হটে জঙ্গিরা॥

Advertisement

কিন্তু এই ভিডিওর থেকেও অন্য সমস্যা বেশি ভাবাচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলিকে। বিশেষত ব্রিটেনকে। কারণ পশ্চিমী দেশগুলির মধ্যে ব্রিটেন থেকেই সব চেয়ে বেশি বাসিন্দা আইএসে যোগ দিচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে আইএসে যোগ দেওয়া রুখতে ফতোয়া জারি করেছেন ব্রিটেনের কিছু মুসলিম ধর্মগুরু। জঙ্গিদের দর্শন যে ইসলামের পরিপন্থী সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আইএসে যোগ দিতেও নিষেধ করা হয়েছে ওই ফতোয়ায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন