রাতেই মোদীকে ফোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের, সুসম্পর্কই ট্রাম্প কার্ড

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন-তালিকার প্রথম পাঁচেই ভারত! মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে নতুন দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করলেন তিনি। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সরকারির ভাবে কিছু জানানো না হলেও হোয়াইট হাউস সূত্রের বক্তব্য, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে খুব ভাল আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:২৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন-তালিকার প্রথম পাঁচেই ভারত! মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে নতুন দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করলেন তিনি। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সরকারির ভাবে কিছু জানানো না হলেও হোয়াইট হাউস সূত্রের বক্তব্য, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে খুব ভাল আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত চার দিনে তাঁর দুই প্রতিবেশী দেশ কানাডা ও মেক্সিকো ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েল ও মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, মোদীকে ফোনে ভারত সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়েও আলাপ আলোচনা করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

রিপাবলিকান জমানায় ভারত সম্পর্কে মার্কিন অবস্থান কী হবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী হলেও সাবধানী থাকতে চাইছে মোদী সরকার। ট্রাম্প জেতার পরেই ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী। তার পর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে এত বছর ধরে তৈরি হওয়া কৌশলগত মৈত্রীর ভিতের উপরেই আগামী দিনে এগোনো হবে। তবে সাউথ ব্লকের কর্তারা বলছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বারাক ওবামার সঙ্গে মোদীর যে রসায়ন তৈরি হয়েছিল, নতুন জমানায় তা ফের গড়ে ওঠে কি না, সেটাই দেখার। এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সম্পর্কে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তাতে বিদেশ মন্ত্রক মনে করছে— যতক্ষণ না তা সরাসরি মার্কিন স্বার্থকে আঘাত করছে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে তাঁর খুব একটা মাথাব্যথা নেই।

Advertisement

ভারতের পক্ষে আশার বিষয় যে চিন এবং কট্টরপন্থী মুসলিম জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একাধিক বার কড়া বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। ওবামার আমলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন নীতির সঙ্গে বারে বারে টক্করে যেতে হয়েছে দিল্লিকে। বাংলাদেশে জামাতে ইসলামি-বিএনপি জোটের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে খোলামেলা সওয়াল করেছে ওবামা প্রশাসন। জঙ্গি নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর মনোভাবের কারণে তাঁর জমানায় এই অবস্থান বদলানোর আশা করছে দিল্লি।

ভারত সম্পর্কে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প যে-টুকু বলেছেন, তা যথেষ্ট ইতিবাচকই। নিউ জার্সির ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটি সভায় তৎকালীন ভাবী প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘আমার শাসনে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও বাড়বে। বাড়বেই বা বলছি কেন, বন্ধুত্ব সব চেয়ে ভাল হবে!’’ মোদীর প্রশংসা করে ট্রাম্প ভারত সরকারের আর্থিক এবং আমলাতান্ত্রিক সংস্কারের গুনগানও করেছেন তাঁর প্রচারে।

এ সবের পাশাপাশি, দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম সপ্তাহেই ভারতীয় নেতাকে ফোন করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে চাপে রাখবে দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানকে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং-এর একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ট্রাম্প। প্রশ্ন তুলেছেন চিনের তাইওয়ান নীতি নিয়েও। দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া নিয়ে ট্রাম্প কী নীতি নেন, এখন সেটা দেখতে চাইছে নয়াদিল্লি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন