মার্ক জাকারবার্গ এবং জেফ বেজোস। -ফাইল ছবি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প-জো বাইডেন যতই উদ্বেগে থাকুন গত দু’দিনে হাসি আরও চওড়া হয়েছে মার্ক জাকারবার্গ এবং জেফ বেজোসের। আমেরিকায় ভোটকে কেন্দ্র করে চড়ে গিয়েছে শেয়ার বাজার।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটাভুটির প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেও ক্ষমতার কুর্সিতে কে বসবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। জনসমর্থনের শতাংশের হেরফেরে খুব সামান্য এগিয়ে পিছিয়ে থাকায় উদ্বেগে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। তাতে অবশ্য আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ধনকুবেরদের কিছুই যায় আসেনি। বরং তাঁদের সম্পদ আরও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। সিলিকন ভ্যালিতে এখন যেন বসন্ত!
নিজের কোম্পানির শেয়ারের দাম চড়ায় যেমন আরও অর্থবলে বলীয়ান হয়েছেন অ্যামাজনের প্রধান বেজোস, তেমনই সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে ফেসবুকের কর্ণধার জাকারবার্গের।
প্রেসিডেন্ট ভোটের পর বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজারে নিজেদের সংস্থার শেয়ারের দাম চড়ায় লাভবান হয়েছেন সে দেশের অন্তত ১৬৭ জন কোটিপতি। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে আরও ৫ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার।
আরও পড়ুন: লাইভ: মিশিগান, উইসকনসিন জিতে ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পথে বাইডেন
আরও পড়ুন: বিহার ভোটে শরিকি সঙ্ঘাত, যোগীর সিএএ মন্তব্যের বিরোধিতায় নীতীশ
এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রধান। বেজোসের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ডলার। তার পরেই রয়েছেন ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮১০ কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ এই খবর দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকায় ধনকুবেররা আরও সম্পদশালী হয়েছেন। কারণ, তাঁদের উপর আয়করের বোঝা হাল্কা করেছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। ফলে, শেয়ার বাজারে আমেরিকার ধনকুবেরদের বিনিয়োগও বেড়ে গিয়েছে।
তা ছাড়াও গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনের নিরিখে শতাংশের হারে যতটা এগিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন ভোটের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। ফলে, ট্রাম্পও যে ফিরে আসতে পারেন সেই সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। ফলে শেয়ার বাজারে আমেরিকার ধনকুবেরদের বাড়তি উৎসাহ অব্যাহতই ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বুধবারের আমেরিকার শেয়ার বাজারের ফলাফল সম্ভবত সেই দিকটিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।