খাশোগি হত্যায় কাঠগড়ায় সেই যুবরাজ সলমন

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:১৯
Share:

সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনই (এমবিএস)।—ছবি রয়টার্স

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি খুনের তদন্তে সিআইএ যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে, কার্যত তা উড়িয়েই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, তদন্ত এখনও বিস্তর বাকি। সাংবাদিক খুনে সৌদি রাজ পরিবারের যোগ তেমন পোক্ত নয়। মার্কিন সেনেটের একটা বড় অংশ কিন্তু নিশ্চিত— ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে খাশোগিকে মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনই (এমবিএস)। গত কাল সিআইএ প্রধান জিনা হ্যাসপেলের দেওয়া তদন্ত-ব্রিফিং শোনার পরেই এমনটাই মনে হয়েছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সেনেটরদের।

Advertisement

সৌদি রাজ পরিবারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগি ২ অক্টোবর খুন হয়েছিলেন। দু’মাস পরেও তাঁর দেহ মেলেনি। এই খুনের পিছনে যুবরাজের হাত আছে বলে গোড়া থেকেই সুর চড়িয়ে আসছে তুরস্ক। এ নিয়ে বেশ কিছু প্রামাণ্য অডিয়ো-নথিও তারা তুলে দিয়েছে আমেরিকা, কানাডার মতো বেশ কিছু দেশের হাতে। সূত্রের খবর, সিআইএ-র হাতে প্রমাণ আছে, সে দিন হিট স্কোয়াডের মাথা সৌদ আল-কাহতানির সঙ্গে বেশ কিছু বার্তা চালাচালি হয়েছিল সৌদি যুবরাজের। খুনের পরে ইস্তানবুল কনসুলেট থেকে রিয়াধে ফোন গিয়েছিল— ‘কাজ খতম, বসকে জানিয়ে দিন।’

কে এই ‘বস’? রিপাবলিকান সেনেটর বব কর্কার বললেন, ‘‘বস যে সৌদি যুবরাজ, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কাঠগড়ায় তুললে আধ ঘণ্টাতেই সব ফয়সালা হয়ে যাবে।’’ আলাবামা থেকে কংগ্রেসে আসা রিপাবলিকান রিচার্ড শেলবিরও দাবি, তথ্যপ্রমাণ যুবরাজের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলছে। সিআইএ প্রধান জানান, তাদের হাতে থাকা বেশির ভাগ তথ্যপ্রমাণই প্রেসিডেন্ট দেখেছেন বা শুনেছেন। তার পরেও ট্রাম্প কেন এমবিএসের পিঠ বাঁচাতে চাইছেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন সেনেটেরদের অনেকে। গত সপ্তাহে বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসও দাবি করেন, খাশোগি-খুনে যুবরাজের জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলেনি। সেনেটররা তাই মুখিয়ে ছিলেন সিআইএ প্রধান হ্যাসপেল কী বলেন!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন