ফ্রান্সের তিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকার নজরদারিতে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, এমন কিছু প্যারিস কোনও মতেই মেনে নেবে না। বুধবার, একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কুইজ হল্যান্ড। এমনকী, এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমন পাঠাল ফরাসি সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ১৭:৫০
Share:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, এমন কিছু প্যারিস কোনও মতেই মেনে নেবে না। বুধবার, একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কুইজ হল্যান্ড। এমনকী, এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমন পাঠাল ফরাসি সরকার।

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৬ সাল থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের উপর নজরদারি চালাচ্ছে, এই খবরে নড়েচড়ে বসেছে ফ্রান্স। খবরটা প্রথম বেরোয় ফ্রান্সেরই ‘লিবারেশন’ নামের এক দৈনিকে। তার পর খবরটা প্রকাশিত হয় ওয়েবসাইটে। সেই খবর প্রমাণ-সহ দেখায়, ২০০৬ থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই নজরদারির নিশানায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট জ্যাকুইজ চিরাক, নিকোলাস সারকোজি। এবং এখনও রয়েছেন ফ্রাঙ্কুইজ হল্যান্ড!

স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টা সহজ ভাবে নিতে পারছে না ফ্রান্স। “ফ্রান্স এমন কোনও কার্যকলাপ সমর্থন করবে না যা তার নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।”—জানিয়েছেন ফ্রাঙ্কুইজ।

Advertisement

ইতিমধ্যেই ফরাসি বিদেশ মন্ত্রক এই গুপ্তচরবৃত্তির জন্য সমন পাঠিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে। এই প্রসঙ্গে ফরাসি বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “কাজটা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! এখন ওদের এক বার ডেকে সামনাসামনি কথা বলাটা দরকার। তবে, তার জন্য ফ্রান্স সহবতের সীমানা অতিক্রম করবে না।”

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ফ্রাঙ্কুইজ হল্যান্ড বুধবার পার্লামেন্টের সদস্যদেরও ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁর এলসি প্যালেসের কার্যালয়ে। সেই বৈঠকের পর ফরাসি সরকারের মুখপাত্র স্টেফানি লে ফোল বলেন, “আমরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না কী জন্য একটি মিত্র দেশ অন্য মিত্র দেশের উপরে নজরদারি চালাবে!” একই সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে থাকা সারকোজির প্রাক্তন অন্যতম প্রধান ক্লদ গুয়েন্ত-এর গলায়— “এত দিন ধরে খুব সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। এত দিন ধরে আমরা পরস্পরকে কেবল বিশ্বাসই করে এসেছি। আজ কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙে গেল!”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এই গুপ্তচরবৃত্তির কথা অস্বীকার করেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তরফে শুধু এটুকু জানানো হয়েছে, তারা কাউকে টার্গেট করার উদ্দেশ্যে এমন করেনি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন