মাস পেরোতে চলল। ভোট পর্ব চুকে গিয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কোনও না কোনও বিতর্ক লেগেই রয়েছে। তালিকায় নয়া সংযোজন পুনর্গণনা।
ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে হেরে গেলেও পপুলার ভোটে প্রায় কুড়ি লাখ ভোটে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে এগিয়েছিলেন হিলারি ক্লিন্টন। তার পর থেকেই বিভিন্ন স্টেট-এ পুনর্গণনার দাবি উঠেছে। কোনও কোনও জায়গায় সেই দাবি মতো আবার ভোট গণনাও শুরু হয়েছে। আর সেই গণনা পর্বে এ বার সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিলারির শিবির।
গোটা বিষয়টাকে গত কালই ‘কেলেঙ্কারি’র তকমা দিয়েছেন ট্রাম্প। আর তার পরই ডেমোক্র্যাট শিবিরের এই সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছে অনেককেই। উইসকনসিনে গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন ভোট পুনর্গণনার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, গণনায় বিস্তর কারচুপি হয়েছে। তাই নতুন করে সব ভোট খতিয়ে দেখা হোক। খাতায়-কলমে সেই অনুমতি মেলায় এ বার পুনর্গণনা পদ্ধতিতে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিলারি শিবির। শিবিরের তরফে ম্যানেজার মার্ক এলিয়াস সংবাদমাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ভোট পদ্ধতিতে হ্যাকিংয়ের কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। কিন্তু এখন যখন আমরা জেনেছি যে, উইসকনসিনে পুনর্গণনা হবে, তখন সেটা যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের।’’ পরে পেনসিলভেনিয়াতে ফের ভোট গোনা হলেও তাতে হিলারি শিবির সামিল হবে বলে জানিয়ে রেখেছেন মার্ক। সেখানে আবার ভোট গোনার আর্জি জানাতে হবে এই সোমবারের মধ্যে। নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, সেখানে ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন ট্রাম্প। উইসকনসিনে এগিয়ে ছিলেন ২৭ হাজারের মতো ভোটে।
যদিও গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিলকে টুইটারে কালই এক হাত নিয়েছিলেন ট্রাম্প। জিলের দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়েও দিয়েছেন। খোঁচা মেরে ট্রাম্প বলেছিলেন, এক শতাংশ ভোটও যে দল পায়নি, সেই ভোট পুনর্গণনা করে কোনও লাভ নেই। গোটা পদ্ধতির জন্য তোলা চাঁদাও জিল ওই কাজে লাগাবেন না বলেও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। যদিও টুইটারেই প্রেসিডেন্ট ইলেক্টকে এই আক্রমণের জবাব দিয়েছেন জিল। তাঁর দাবি, ভোট গোনার সময় কারচুপি হয়েছে বলে তাঁর আশঙ্কা। চাঁদায় যে অর্থ উঠেছে, তা যে তিনি পুনর্গণনার কাজেই লাগাবেন, তা-ও জোর দিয়ে বলেছেন জিল। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘দেশের মানুষের জানা উচিত সত্যিটা আসলে কী। তাই আবার করে গণনার আবেদন জানিয়েছিলাম।’’