পাকিস্তানকে ফের কড়া বার্তা আমেরিকার

আজ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লেখেন ট্রাম্প। সেই চিঠিতে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদকে সাহায্য করতে ইমরানকে অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁ দিকে) ও ইমরান খান।

দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে পাকিস্তানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিস স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে পাকিস্তান কতটা উদ্যোগী হবে তার উপরে পাক-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

Advertisement

আজ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লেখেন ট্রাম্প। সেই চিঠিতে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদকে সাহায্য করতে ইমরানকে অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষ করতে আলোচনা চাইছে আমেরিকা। সেই প্রক্রিয়া শুরু করতেই খলিলজাদকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পাকিস্তান এই বিষয়ে কতটা সাহায্য করবে তার উপরে পাক-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে। আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য আজ পাকিস্তানে পৌঁছেছেন খলিলজাদ।

এ দিনই ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই বৈঠকের আগে ম্যাটিস বলেন, ‘‘আমার মনে হয় প্রত্যেক দায়িত্বশীল দেশের উচিত দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগকে সমর্থন করা।’’ নাম না করলেও ম্যাটিসের ইঙ্গিতও যে পাকিস্তানের দিকে তা নিয়ে সন্দেহ নেই কূটনীতিকদের।

Advertisement

পাক সরকারের অবশ্য দাবি, ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সম্পর্কে বাস্তবটা বুঝতে পেরেছেন। সন্ত্রাস প্রশ্নে গোড়়া থেকেই ইসলামাবাদের উপরে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প। সম্প্রতি টুইটারে ইসলামাবাদকে আক্রমণ করেছেন তিনি। আজ ট্রাম্প ইমরানকে চিঠি লেখার পরে পাক মন্ত্রী শিরিন মাজারি বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটের যে জবাব ইমরান দিয়েছেন তা থেকে পাকিস্তান সম্পর্কে বাস্তবটা বুঝতে পেরেছে আমেরিকা। সে জন্যই আফগানিস্তান নিয়ে সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছেন ট্রাম্প।’’

অন্য দিকে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনায় ভারতকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে না বলে এ দিন জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব ম্যাটিস। কেবল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশেষ ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারতকে ছাড় দিতে পারেন। আজ নির্মলার সঙ্গে আলোচনার আগে ম্যাটিস বলেন, ‘‘এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলব।’’ নির্মলার বক্তব্য, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক দিল্লির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গত তিন-চার বছরে এই সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement