usa

এখনও প্রশ্নের মুখে এইচ-১বি ভিসা

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২১ ০৭:৫৬
Share:

সম্প্রতি এক নির্দেশে প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনকার্ড সংক্রান্ত ঘোষণা-পত্র বাতিল করার কথা জানিয়েছে বর্তমান জো বাইডেনের সরকার। তাতে নতুন করে গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন প্রবাসীরা। আর একটি নির্দেশে এইচ-১বি ভিসাধারীদের স্ত্রী বা স্বামীরা ফের আমেরিকায় কাজের সুযোগ পাবে বলে জানানো হয়েছে। এই সমস্ত নির্দেশে নিশ্চয়ই খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন প্রবাসীরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এইচ-১বি ভিসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না নতুন সরকারকে।

Advertisement

ক্ষমতায় এলে অভিবাসীদের জন্য নতুন ভিসানীতির কথা ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলেন জো বাইডেন। তাতে আমেরিকায় ফের কাজের সুযোগ বাড়বে বলে স্বপ্ন দেখছিলেন অভিবাসীরা। কিন্তু ভিসানীতি বদলের কথা ঘোষণা করা হলেও, এইচ-১বি ভিসার সংখ্যা বাড়বে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

দেখা যাচ্ছে, আমেরিকান কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আপাতত পিছনের সারিতে রয়েছে এইচ-১বি ভিসা নীতি। পরিবর্তে তারা এই মুহূর্তে প্রাধান্য দিচ্ছে শরণার্থী সমস্যা, কৃষিকর্মী, বেআইনি ভাবে আমেরিকায় ঢুকে পড়া শিশুদের অধিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। ফলে অভিবাসী দক্ষ কর্মীদের জন্য ভিসার সংখ্যা কবে বাড়ানো হবে, তা আপাতত অস্পষ্ট।

Advertisement

করোনার জেরে কাজ হারানো আমেরিকানদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়াতে এইচ-১বি-সহ একাধিক ভিসায় কোপ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এইচ-১বি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। বছরে সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার জনকে ওই ভিসা অনুমোদনের অনুমতি দেওয়া হয়। ফেসবুক, গুগলের মতো বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি প্রথম থেকেই ট্রাম্পের ওই ভিসানীতির বিরোধিতা করেছে। বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনতে ভিসানীতি পরিবর্তনের পক্ষেই সওয়াল করেছে তারা। নতুন সরকার এ বিষয়ে আশ্বস্ত করলেও কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিয়োর মতে, অতিমারি শেষ হওয়ার আগে ভিসা বাড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন