মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সোল বৈঠকে আশাপূরণ হয়নি। তবে ভারতের জন্য লড়াই জারি রাখল এনএসজির অধিকাংশ সদস্য। চিনের আপত্তি উড়িয়ে এ বছরের শেষেই ফের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএসজি। মূলত ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করতেই ওই বৈঠক বসছে। ভারতের সদস্যপদের দাবি নিয়ে আলাপ-আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্যানেলও গড়ে দিয়েছে এনএসজি।
এনএসজির অধিকাংশ দেশই রাজি ছিল ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে। চিন-সহ কয়েকটি দেশের বাধায় ভারতের অন্তর্ভুক্তি আটকে। যায়। এনপিটি স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত কিছুতেই ভারতকে এনএসজিতে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় বলে চিন অনড় থাকে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হলেও ৪৮ দেশের সংগঠন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। তবে এনএসজিতে ভারতের প্রবেশের পথ যাতে এখনই বন্ধ না হয়ে যায়, তার ব্যবস্থা করে ফেলেছে মিত্র দেশগুলি। সোল বৈঠকে মেক্সিকোর প্রতিনিধি প্রস্তাব দেন, এ বছরের শেষে ফের বৈঠক হোক। সেই বৈঠকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা হোক। চিন সেই প্রস্তাবে ফের বাধা দেয়। তবে অধিকাংশ দেশ মেক্সিকোর প্রস্তাবকে সমর্থন করায় চিনের আপত্তি ধোপে টেকেনি। দিনক্ষণ স্থির না হলেও চলতি বছরের শেষ দিকে যে আবার এনএসজি বৈঠকে বসবে এবং সেই বৈঠকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
শুধুমাত্র বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েই অবশ্য ক্ষান্ত হয়নি এনএসজি। ভারতের দাবি নিয়ে বিভিন্ন সদস্য দেশের সঙ্গে বৈঠকের আগেই বেশ কয়েক দফা আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই আলোচনা চালানোর জন্য একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন এনএসজিতে আর্জেন্তিনার দূত। ভারতের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করার লক্ষ্যেই এই প্যানেল কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। আমেরিকার তরফে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ভারতকে এনএসজির সদস্য করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: এনএসজিতে ভারতের বিরোধিতায় কোন দেশগুলি? দেখে নিন
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও আশার আলো দেখছে। ২০১৬-র শেষ দিকে এনএসজি যে বৈঠক করবে, সেখা নয়াদিল্লির সদস্যপদের দাবি প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে বলে মনে করছেন ভারতের কূটনীতিকরা।