চাকরি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নে ফের ধাক্কা। এইচ-১বি ভিসায় রাশ টানতে আজই এক প্রশাসনিক নির্দেশে সই করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঠিক তার আগে ‘৪৫৭ ভিসা’ তুলে দিল অস্ট্রেলিয়া। আগাম কোনও ইঙ্গিত না দিয়েই। ভিসা বাতিলের কথা ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল আজ জানান— বেকার সমস্যা সমাধানেই এই সিদ্ধান্ত।
নব্বইয়ের দশকে চালু হওয়া এই ভিসা প্রকল্পে ভর করেই এত দিন অস্থায়ী ভাবে ৪ বছরের মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি করে আসছিলেন ভিনদেশিরা। গত সেপ্টেম্বরের হিসেব বলছে, সেই সংখ্যাটা অন্তত ৯৫ হাজার। যার বেশির ভাগটাই ভারতীয়। এদের কী হবে? টার্নবুলের স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমরা অভিবাসন নির্ভর দেশ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে যত বেশি সম্ভব বিদেশি কর্মীর নিয়োগ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। চাকরিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এ বার প্রাধান্য পাবেন অস্ট্রেলীয়রাই। বিদেশি নাগরিকের পাসপোর্টে আর এই ভিসা মঞ্জুর করা হবে না।’’
৪৫৭-র পরিবর্তে অবশ্য তাঁর প্রশাসন নতুন ভিসা প্রকল্পের কথাও ভাবছে বলে জানান টার্নবুল। আর তা হবে শুধুই দক্ষতার ঘাটতি পূরণে। তবে সে ক্ষেত্রে চাকরি-প্রার্থীদের আরও বেশি দক্ষ এবং ইংরেজিতে আরও সড়গড় হতে হবে। থাকবে অতিরিক্ত কিছু বিধিনিষেধও। ৪ বছর থেকে চাকরির মেয়াদ কমিয়ে ২ বছর করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।
প্রাথমিক ভাবে ব্যবসায়ী এবং বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের দ্রুত অভিবাসনের জন্য চালু হয়েছিল ‘ভিসা ৪৫৭’ প্রকল্প। পরে অভিযোগ ওঠে, এর সুবিধা নিয়ে সস্তায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে চলেছে বহু অস্ট্রেলীয় সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে দক্ষতার মাপকাঠি না রেখেই। এই কারচুপি ঠেকাতেই ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে দাবি প্রশাসনের। সম্প্রতিই ভারত সফর করে গিয়েছেন টার্নবুল। ছ’টি চুক্তিও সই করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা, সন্ত্রাস-দমন সহ বিষয় নিয়ে কথা হয়। কিন্তু আচমকা এই ভিসা বাতিলের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি নয়াদিল্লি।