মানবদেহ থেকে সার! বিল পাশ

মানবদেহ  থেকে তৈরি সার ব্যবহার করা নিয়ে  আইনি স্বীকৃতি আদায়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল আমেরিকার ওয়াশিংটন প্রদেশ। পাশ হয়েছে বিল।  অপেক্ষা গর্ভনরের সিলমোহরের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৮
Share:

‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে যে দেহাবশেষ পাওয়া যায়, তা দিয়েই তৈরি হবে উৎকৃষ্ট কম্পোস্ট সার

মানবদেহ থেকে তৈরি সার ব্যবহার করা নিয়ে আইনি স্বীকৃতি আদায়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল আমেরিকার ওয়াশিংটন প্রদেশ। পাশ হয়েছে বিল। অপেক্ষা গর্ভনরের সিলমোহরের।

Advertisement

মানুষের মৃত্যুর পর সাধারণ পদ্ধতিতে অন্ত্যেষ্টির বদলে ‘লিকুইড ক্রিমেশন’-এর বা ‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে যে দেহাবশেষ পাওয়া যায়, তা দিয়েই তৈরি হবে উৎকৃষ্ট কম্পোস্ট সার। অন্ত্যেষ্টির প্রক্রিয়াও হবে পরিবেশ বান্ধব। এ নিয়ে বিল পাশ হয়েছে ওয়াশিংটনে। এখন গর্ভনর জে ইন্সলি বিলটিতে সই করে দিলে ২০২০ সালের ১ মে থেকে এই আইন চালু করতে কোনও বাধা থাকবে না।

মৃতদেহ দাহ করলে পরিবেশে কার্বন-গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যায়। অন্যান্য প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটে দূষণ। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, মানবদেহ থেকে সার তৈরির এই নয়া পদ্ধতিতে তা হবে না। ফলে আইনসভার সদস্যদের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব এই উপায়ে অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া চালু করার পক্ষে সওয়াল করছেন ওয়াশিংটনের অনেক বাসিন্দা।

Advertisement

বিলটি নিয়ে ভাবনা ও প্রস্তুতি চলেছে কয়েক দশক ধরে। সিয়াটলের বাসিন্দা ক্যাটরিনা স্পেডের আশা এ বার তা আইনে পরিণত হবে। ‘রিকোম্পোস’ নামে আমেরিকার প্রথম ‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ দাহ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। বছর সাতেক আগে মানব-সার তৈরির কাজ শুরু করেন ক্যাটরিনা। কী ভাবে সহজে মানুষের মৃতদেহ পচিয়ে তা থেকে সার তৈরি করা যায়, তা নিয়ে পূর্ব ওয়াশিংটন এবং নর্থ ক্যারোলাইনার বেশ কয়েক জন বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সেই গবেষণাতেই জানা গিয়েছে, এই সার মেশালে সাধারণ মাটির মতোই গন্ধ বেরোয়। বাড়তি কোনও ‘বিকট’ গন্ধের কোনও আশঙ্কা নেই। ফলে বাড়ির বাগানেও এই সার স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যেতে পারে।

হালে বিষয়টি চর্চায় উঠে এলেও প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ছ’টি দেহের উপর এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এক সংবাদ সংস্থার দাবি মানবদেহ থেকে সার তৈরি করতে খরচ পড়বে ৫,৫০০ ডলারের বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন