Pakistan China Relation

২১টি চুক্তি, ৭৪ হাজার কোটির বাণিজ্যিক সমঝোতা! চিন থেকে ঝুলি ভরে ফিরলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, দিল্লির চিন্তা বাড়ল?

এসসিও সম্মেলনে গিয়ে মোদী চিনে দু’দিন ছিলেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের চিন সফর ছিল ছ’দিনের, যা বৃহস্পতিবার শেষ হল। এই সফর থেকে কী কী লাভ হল পাকিস্তানের?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০০
Share:

(বাঁ দিক থেকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ছ’দিনের সফর শেষে চিন থেকে ঝুলি ভরে দেশে ফিরলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। এসসিও সম্মেলন দিয়ে যে সফরের সূচনা হয়েছিল, তা শেষ হল চিনা প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে। চিনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন শাহবাজ়। দাবি, বৈঠক ‘সদর্থক’ হয়েছে। এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চিনে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর সফর ছিল দু’দিনের। পাক প্রধানমন্ত্রী এত দিন চিনেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি পাকিস্তানে ফিরেছেন।

Advertisement

পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতার কথা কারও অজানা নয়। তবে সম্প্রতি আমেরিকার শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত এবং চিন কিছুটা ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এসসিও সম্মেলনের আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বার্তা, সম্পর্ক আরও উন্নত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে সেই বৈঠক থেকে। তাতে পাক-চিন সম্পর্কে তেমন প্রভাব পড়ল না বলেই মত পর্যবেক্ষকদের। সাম্প্রতিক সফরে চিনের সঙ্গে ২১টি চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলেছেন শাহবাজ়। প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যিক সমঝোতা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এ ছাড়া, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পের দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিক সূচনাও হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সিপিইসি ছাড়াও চিনের সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, বিনিয়োগ, কৃষি প্রভৃতি বিষয়ে বিবিধ চুক্তি হয়েছে। সফরের শেষ দিনে শাহবাজ় দেখা করেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াঙের সঙ্গে। তার পর চিনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাকিস্তানের মাটিতে আরও বেশি করে বিনিয়োগের জন্য তাঁদের আহ্বান জানিয়েছেন শাহবাজ়। পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। একসঙ্গে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সম্মত হয়েছে।

Advertisement

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালিয়ে সেখানকার জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারত এবং পাকিস্তান প্রত্যক্ষ সেনা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে। টানা চার দিন সংঘাতের পরে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। এই সময়ে চিনকে পাশে পেয়েছিল পাকিস্তান। চিনের অস্ত্রই তারা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু আমেরিকা ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরে চিনের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার বিকল্প হিসাবে বাণিজ্যের জন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের আহ্বানও জানিয়েছে বেজিং। ফলে পাক-চিন ঘনিষ্ঠতা নয়াদিল্লিতে চিন্তায় রাখবে বলেই মত ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement