Iran-Israel Conflict

যুদ্ধ থেমেছে, কিন্তু ‘খোঁজ নেই’ খামেনেইয়ের! কোথায় গেলেন, প্রশ্ন উঠছে ইরানেই, কী জানাল সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সচিবালয়

ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম সরাসরি খামেনেইয়ের দফতরের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করে, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কোথায়? সংবাদমাধ্যমটির তরফে এ-ও জানানো হয়, খামেনেই কোথায় রয়েছেন এবং কেমন রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে বহু চিঠি আসছে তাদের কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১৪:০৭
Share:

আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। —ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হলেও খোঁজ নেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের! তিনি কোথায়, সেই প্রশ্ন উঠছে ইরানেই। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে নানা জল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। ৮৬ বছর বয়সি প্রবীণ এই নেতা শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন কি না, উঠেছে সেই প্রশ্নও।

Advertisement

ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি খামেনেইকে। প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতিও দেননি তিনি। সেই সময় খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্ভাব্য প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এমনকি তাঁর অবস্থান যাতে কেউ চিহ্নিত করতে না-পারে, তার জন্য বৈদ্যুতিন সামগ্রীও খামেনেই ব্যবহার করছেন না বলে শোনা গিয়েছিল।

ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম সরাসরি খামেনেইয়ের দফতরের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করে, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কোথায়? সংবাদমাধ্যমটির তরফে এ-ও জানানো হয়, খামেনেই কোথায় রয়েছেন এবং কেমন রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে বহু চিঠি আসছে তাদের কাছে। জবাবে খামেনেইয়ের দফতরের প্রধান মেহদি ফজ়ায়লি জানান, তাঁর কাছেও বহু চিঠি আসছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “যাঁরা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা খুব ভাল কাজ করছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমরা আমাদের নেতার সঙ্গে জয় উদ্‌যাপন করতে পারব।” খামেনেইয়ের জন্য সকলকে প্রার্থনা করতেও বলেছেন মেহদি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, খামেনেইয়ের নির্দেশ ছাড়া ইরানে ধর্মীয় বা প্রশাসনিক, কোনও কাজই হয় না। সামরিক বিষয়েও তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। তাই মনে করা হয়ে থাকে, ইরানের সেনাবাহিনীকে কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর নির্দেশ খামেনেই-ই দিয়েছিলেন। ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় একাধিক বার অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি দিয়েছেন খামেনেই। কখনও তিনি আমেরিকাকে ইরানের অতীত সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, কখনও বা ইজ়রায়েলকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

যুদ্ধের মধ্যেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরাসরি খামেনেইকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন। ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশের স্বৈরাচারী শাসকের কী চরম পরিণতি হয়েছিল, ইরান যেন তা মনে রাখে। সাদ্দামের মতো পরিণতি খামেনেইয়েরও হতে পারে।’’ ট্রাম্প অবশ্য খামেনেইকে হত্যা করার বিষয়ে সায় দেননি। তবে বলেছিলেন, “আমরা জানি যে তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন। তিনি একটি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু সেখানে নিরাপদ। আমরা তাঁকে বার করে (হত্যা!) করব না, অন্তত আপাতত নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement