প্রতীকী ছবি।
ব্রিটেনের আত্মবিশ্বাসে কার্যত জল ঢেলে দিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু)। গত কালই ব্রিটেন জানিয়েছিল, দেশজুড়ে দ্রুত গতিতে টিকাকরণের জোরে আগের থেকে অনেকটা ‘সুস্থ’ হয়ে উঠেছে তারা। সংক্রমণ কমছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি কমছে। মৃত্যুও কম। কিন্তু সেরে ওঠার সেই আত্মবিশ্বাসী মনোভাবকে খারিজ করে দিয়ে হু-এর এক বিশেষজ্ঞ জানালেন, এই সাফল্যটুকুই সব নয়। বিপদ এখনও কাটেনি। ফের আছড়ে পড়তে পারে সংক্রমণ ঢেউ।
হু-এর ইউরোপ শাখার শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন স্মলউড সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংক্রমণ কমলেও যে পরিমাণে এখনও ঘটছে, সেটা ভয়ের। এখনও বিপদসীমাতেই রয়েছে ব্রিটেন। আর একটা ঢেউ এলে সামলাতে পারবে না। গত কালই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ কিছুটা কমায় তারা করোনা-বিধি হাল্কা করার কথা ভাবছে। অতিপ্রয়োজনীয় নয় এমন দোকান, জিম, আউটডোর রেস্তরাঁ, পাব হয়তো খুলে দেওয়া হবে শীঘ্রই। স্মলউড বলেন, ‘‘এত দিন এই কড়াকড়িগুলো হচ্ছিল বলেই কিন্তু সংক্রমণ কমেছিল।’’ হু-র এই বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘টিকাকরণ জরুরি। সকলের টিকা নেওয়া উচিত। তাতে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। কিন্তু ব্রিটেনের যা পরিস্থিতি, ঢিলে দিলে সংক্রমণ বাড়তে সময় লাগবে না।’’
স্মলউড আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন— ‘‘ভাইরাস শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা ও মারণ ক্ষমতা, দুই-ই বেশি। এই নতুন স্ট্রেনের সামনে এখন কমবয়সিরা, যাঁদের টিকাকরণ হয়নি।’’ ফলে এখনই নিজেদের সাফল্যে ব্রিটেনের খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি বলে মনে করেন ক্যাথরিন।
দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, তাদের দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন স্ট্রেনের ক্ষেত্রে কোনও কাজ দিচ্ছে না চ্যাডক্স১। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটকে ৫ লক্ষ ডোজ়ের মূল্য বাবদ অর্থ আগাম দিয়ে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই টিকা তারা আর কিনতে চায় না। আগাম নেওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, আগে সরবরাহ করা ডোজ়গুলি তারা আফ্রিকা মহাদেশের অন্য দেশকে বেচে দিয়েছে। আমেরিকা জানিয়েছে, ফাইজ়ার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন-এর টিকা দেওয়াই তারা চালিয়ে যেতে চায়। এখনও পর্যন্ত অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকটিকে প্রয়োগে অনুমতি দেওয়া হয়নি।