গায়ে ধুলোর চাদর, প্রমাদ গুনছে সিডনি

দানবীয় ধুলোর ঝড় উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪৪
Share:

আস্তরণ: ধুলোয় আবছা সিডনি হারবর ব্রিজ। বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স।

গোটা আকাশ রক্তাভ। পোড়া লাল ধুলোর আস্তরণে ঢেকে চারপাশ। এক হাত দূরের জিনিসও অস্পষ্ট। দানবীয় ধুলোর ঝড় উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায়।

Advertisement

৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুলোর চাদরে ঢেকেছে সিডনিও। দৃশ্যমানতা খারাপ হওয়ায় দেরিতে ওঠানামা করছে বিমান। সিডনি ছাড়াও নিউ সাউথ ওয়েলসের বেশ কিছু এলাকার অবস্থা শোচনীয়। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তীব্র গতিতে হাওয়া বইছে। হাওয়ার সঙ্গে উড়ছে শুকনো মাটি। এমনিতেই গত অগস্ট মাস থেকে খরায় বিধ্বস্ত নিউ সাউথ ওয়েলস। তাতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে এমনই ধুলোর ঝড়ের সাক্ষী হয়েছিল সিডনি।

ধুলোর ঝড়ের মধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দাদের অনেকে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা হাপানি রোগী। হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি, ধুলোর ঝড়ে কত জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকদের নির্দেশ, যতটা সম্ভব বাড়ির মধ্যেই থাকুন। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন না। একই পরামর্শ প্রবীণদের জন্যেও।

Advertisement

সিডনি থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে ব্রোকেন হিল। এ শহরের বাসিন্দা ম্যাট হোয়াইটলুমের কথায়, ‘‘বাড়ি থেকে বেরোনোর কোনও উপায় নেই। তাকানো যাচ্ছে না। চোখের মধ্যে ধুলো ঢুকে যাচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গতিতে হাওয়া বইছে। গাড়ি থেকে ওঠানামা করার সময়ে দরজা ধরে থাকতে হচ্ছে। রাস্তায় বেরোনো খুব কষ্টকর।’’ রাজধানী ক্যানবেরা অবশ্য কিছুটা রেহাই পেয়েছে ধুলোর ঝড় থেকে। বুধবার মাঝরাতে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তাতে অনেকটাই ধুয়ে গিয়েছে ধুলো। তবে পুরোপুরি নয়। আবহবিদ অনিতা পাইনের কথায়, ‘‘আকাশ লাল। লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন গাড়ির উপরে ধুলোর আস্তরণ পড়ে। কিন্তু বৃষ্টি না হলে হলে আরও খারাপ অভিজ্ঞতা হত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন