২০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকলেন সিনসিনাটির এক মহিলা। অভিযোগ, এই কোম্পানির তৈরি ফেলিন লিউকেমিয়া ভাইরাস ভ্যাকসিন ব্যবহার করার ফলে তাঁর আদরের মার্জারটি অটিস্টিক হয়ে গেছে।
বিড়ালটির মালকিন ৩৮ বছরের জেন ফেদার্স বলেন, ‘‘লক্ষণগুলো বুঝতে বুঝতেই বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গিয়েছিল আমার। পশুদের অটিজম নিয়ে তথ্য চারদিকে এতই কম যে অনেক কিছু ঘাঁটাঘাঁটি করেও বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে আমার আদরের ‘পিকল’র ঠিক কী হয়েছে। তারপরে ইউ টিউবে একটা ভিডিও দেখে বুঝতে পারি কেন ওই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে হঠাত্ করেই বদলে গিয়েছিল ওর আচরণ।’’
তিনি জানিয়েছেন এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর থেকেই পিকল ‘ছাগলের’ মত আচরণ শুরু করে। জেনের দাবি তাঁর আদরের পোষ্য এক কথায় ব্যতিক্রমী ছিল। সে নাকি নিজের নামও আরামসে উচ্চারণ করতে পারত। ‘সুশিক্ষিত’ বিড়ালটি চোখ না ঝাপটিয়ে নাকি ঠায়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারত।কিন্তু ওই এক ভ্যাকসিনের জেরে নিজের নাম বলাতো দূরের কথা মিউ মিউটুকুও করে না। এক্কেবারে ঝিম মেরে গেছে।
আর এতেই বেজায় ক্ষেপেছেন জেন।দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। জানিয়েছেন যত দিন না পিকল সুবিচার পাচ্ছে তত দিন এই লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন...