প্রতিবাদের অস্ত্র উল্টো ‘আবায়া’

সৌদি আরবের ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী জনসমক্ষে পোশাকের উপর অতি অবশ্যই কালো রংয়ের আবায়া এবং হিজাব দুই-ই পরতে হবে। বিদেশিদের ক্ষেত্রে হিজাব না পরলেও চলবে তবে আবায়ায় ছাড় নেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২৬
Share:

ফের বড়সড় ধাক্কা খেল রক্ষণশীল সমাজের তকমা ঘোচাতে মরিয়া সৌদি আরব। মার্চে দেশকে প্রগতিশীল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টায় নারীদের পোশাক বিধি শিথিল করার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। সেই কথায় যে বিশেষ কাজ হয়নি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌদি মহিলাদের প্রতিবাদ। পরনের আবায়াটি উল্টো করে পরে টুইটারে নিজেদের ছবি শেয়ার করছেন সৌদি মহিলারা। কড়া নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছবিতে দেখা যাচ্ছে পোশাকটির ভিতরের অংশের লাইনিং ও সেলাই। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ #আবায়া_ইনসাইডআউট।

Advertisement

সৌদি আরবের ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী জনসমক্ষে পোশাকের উপর অতি অবশ্যই কালো রংয়ের আবায়া এবং হিজাব দুই-ই পরতে হবে। বিদেশিদের ক্ষেত্রে হিজাব না পরলেও চলবে তবে আবায়ায় ছাড় নেই। এই পোশাকবিধি ভাঙলে পেতে হবে কড়া শাস্তি। ২০১৭-তে যেমন উত্তর রিয়াধের এক ঐতিহ্যশালী গ্রামের এক ঐতিহাসিক কেল্লায় আবায়া ছাড়া টি-শার্ট এবং স্কার্ট পরে ঘোরার ‘অপরাধে’ গ্রেফতার হতে হয়েছিল খুলুদ নামে এক মডেলকে।

বছরের গোড়াতে এক টিভি শো-তে যুবরাজ বলেন, নারীদের পোশাকের উপর আবায়া পরা বাধ্যতামূলক বলে ইসলাম ধর্মে কোনও বিধান নেই। শালীনতা বজায় রাখাটাই মূল কথা। বিশ্বের সামনে দেশের ‘ভাবমূর্তি’ উজ্জ্বল করতে যুবরাজের রক্ষণশীলতার বেড়াজাল ভাঙার প্রচেষ্টায় তখন আশ্বস্ত হয়েছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে মহিলারা। কিন্তু যুবরাজের প্রতিশ্রুতিই সার বলে বক্তব্য সমাজকর্মীদের।

Advertisement

এ বার প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিয়েছেন সৌদি মহিলারা। প্রধানত সৌদি থেকে শুরু হলেও এই অনলাইন প্রতিবাদে এখন যোগ দিয়েছেন বিদেশে থাকা সৌদি মহিলারাও। মুখ থেকে নিকাব সরানোর ছবি টুইটারে পোস্ট করার জন্য ২০১৬-তে গ্রেফতার হন সমাজকর্মী মালাক আল-শেহরি। তাঁর টুইট, ‘‘নিপীড়নের প্রতিবাদ করার অনুভূতি একমাত্র সেই-ই বুঝবে যে সেই জায়গায় রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement