সুপারমার্কেটে ঢোকার জন্য কি কোনও পোশাকবিধি থাকা উচিত?
আপাতত এই বিতর্কে সরগরম ম্যাঞ্চেস্টার। পাজামা আর ড্রেসিং গাউন পরে সুপারমার্কেটে আসা দুই মহিলার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তরজা। এর সঙ্গে মিশে গিয়েছে বর্ণবিদ্বেষের বিতর্কও।
ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারে এক সুপার মার্কেটে একটি বহুজাতিক গ্রসারি স্টোরে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পাজামা আর ডেসিং গাউন পরেই চলে এসেছিলেন মা-মেয়ে। শহরে বেড়াতে এসে স্যালফোর্ড এলাকায় এক পরিচিতের বাড়িতে উঠেছিলেন তাঁরা। টুকিটাকি কিনতে তড়িঘড়ি ঘরোয়া পোশাকেই রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। নিশ্চিন্তে বাজারও করছিলেন। জিনিসপত্র কেনাকাটার ফাঁকে মায়ের সঙ্গে গালগল্পও চলছিল মেয়ের।
আরও পড়ুন
ট্রাম্পকে বিঁধে প্রতিবাদ মেরিলের
ওই সুপার মার্কেটে রোজ আসেন ক্রিস কুক। তাঁর নজর ওই মা-মেয়ের দিকে পড়তেই রীতিমতো বিরক্ত তিনি। সুপারমার্কেটে পাজামা-ডেসিং গাউন পরে ঢোকার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না তিনি। ফলে বাজার করতে এলেও রীতিমতো কেতাদুরস্ত পোশাক থাকে তাঁর। মা-মেয়ের পোশাকে এতটাই বিরক্ত যে তা মোবাইলে তাঁদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ক্রিস। এর পর তা সোজা পাঠিয়ে দেন সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজে। সঙ্গে অনুরোধ, “দয়া করে এ ধরনের মানুষজনের জন্য আপনাদের সুপারমার্কেটে পরিষেবা বন্ধ করতে নিয়ম চালু করুন। এটা সত্যিই জঘন্য! আমি লক্ষ করেছি, বহু মানুষই নিয়মিত ভাবে এ রকম পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
ফেসবুকে নিজেদের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে বিব্রত ওই দুই মহিলা। ক্রিস কুকের মন্তব্যের বিরোধিতা করে তাঁরা বলেন, “এ ধরনের মন্তব্য রীতিমতো বর্ণবিদ্বেষমূলক। কী বিরক্তি বলুন তো! এক জন আমাদের পাজামা পরা ছবি তুলে দাবি করছেন, সুপারমার্কেটে এ ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক। এটা তো আমাদের সংস্কৃতি, এমনকী জীবনযাত্রার উপর আঘাত হানা!” অভিযোগ, অন্য ভাষাভাষীর হওয়ার জন্য তাঁদের উপর এ ধরনের আক্রমণ করা হচ্ছে। মেয়ে বলেন, “আমি আর মা যে ভাষায় কথা বলছিলাম তা বোধহয় ওঁর বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই আমাদের ছবি তুলে এ ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।”
সুপারমার্কেটে পোশাকবিধি নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ যে এই প্রথম নয় তা স্বীকার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগেও বহু ক্রেতা এ ধরনের অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, “আমাদের সুপারমার্কেটে এখনও পর্যন্ত কোনও পোশাকবিধি চালু নেই। তবে আমরা সব ধরনের ক্রেতার মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করি।”