মাক্‌রঁকে সামলাতে পারবেন তো মে!

ইমানুয়েল মাক্‌রঁর বিপুল জয়ের পরে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বললেন, ‘‘ব্রিটেনের সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফ্রান্স। নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে খুবই আগ্রহী আমরা।’’

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৭ ০৩:০৪
Share:

ইমানুয়েল মাক্‌রঁর বিপুল জয়ের পরে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বললেন, ‘‘ব্রিটেনের সব থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফ্রান্স। নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে খুবই আগ্রহী আমরা।’’

Advertisement

প্রথামাফিক এক সৌজন্যবার্তা। কিন্তু এর পেছনেই লুকিয়ে আছে অনেকটা দুশ্চিন্তা। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রবল সমর্থক মাক্‌রঁর নির্বাচিত হওয়ার ফলে ব্রেক্সিটের রাস্তা কতটা বন্ধুর হলো, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে মে প্রশাসন। ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানান, কাল যখন অভিনন্দন জানাতে মাক্‌রঁকে ফোন করেছিলেন মে, তখনই ব্রেক্সিট নিয়ে অল্পস্বল্প কথা হয় তাঁদের।

‘যে কোনও মূল্যে ব্রেক্সিট’, এই মতবাদের ঘোর বিরোধী মাক্‌রঁ। তাঁর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জঁ পিসানি-ফেরি জানান, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সময়ে ব্রিটেন যাতে ব্রাসেলসকে চাপ দিতে না পারে, তার দিকে নজর রাখবেন মাক্‌রঁ। তবে তিনি কখনওই চাইবেন না, ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক খারাপ হোক। কারণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মতো বিষয়ে ইউরোপকে জোট বেঁধে চলতে হবে। কিন্তু এই সমঝোতার মনোভাবকে যেন কখনওই নরম মাটি ভেবে না নেয় টেরেসা সরকার। কারণ, ব্রেক্সিটের ফলে ইইউ বিপুল অর্থনৈতিক দুর্দশার মুখোমুখি হোক, তা কখনওই চাইবেন না মাক্‌রঁ বা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের মতো রাষ্ট্রনেতারা।

Advertisement

আরও পড়ুন:তরুণ নেতাই পথ দেখাবেন ফ্রান্সকে

জমি ছাড়তে নারাজ টেরেসা-ও। আজকেই তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পরে অভিবাসনের হার অনেক কমিয়ে দেব আমরা।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে লিবারাল পার্টির তরফে বলা হয়, এই ধরনের পদক্ষেপে ভারতের মতো দেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন