এই চিত্র আবার দেখা যাবে কি?—ফাইল চিত্র।
প্রতিবেশী বেশ কিছু দেশের ক্ষেত্রে করলেও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে এখনও সরাসরি নাক গলায়নি বেজিং। যদিও কূটনীতির লোকজন জানাচ্ছেন, নাক না গলালেও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তারা ভারতের আগামী সাধারণ নির্বাচন ও তাকে ঘিরে যাবতীয় ঘটনার উপরে কড়া নজর রেখে চলেছে। মূল আগ্রহ, নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরছেন কি না তা দেখা। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, যদি তাঁরা মনে করে মোদী ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন, তা হলে লোকসভা ভোটের আগেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে এক বার নয়াদিল্লি সফরে আসতে পারেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ফলে এখনও কোনও পাকা সিদ্ধান্ত হয়নি।
চিনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শি চিনফিংয়ের সম্ভাব্য সফরটির উদ্দেশ্য মূলত বাণিজ্যিক। ডোকলাম কাণ্ডের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে যে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীলতা এসেছে সেটা ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করছে উভয় পক্ষই। বিশেষ করে গত এক বছরে ভারত এক পা বাড়িয়েই কার্যত চিনের সুরে সুর মিলিয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে চিনের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটা যে সম্ভব নয়, সে কথাও ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করেছে মোদী সরকার। দু’দেশের মধ্যে প্রথম বার কৌশলগত চুক্তিও হয়েছে।
এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সরকারের সঙ্গে পরবর্তী ইনিংসের জন্য মঞ্চ তৈরি করে রাখতে চায় চিন। যদিও সবটাই নির্ভর করছে পরিবর্তন না ধারাবাহিকতা— ভারতবাসী কোন পথে হাঁটবেন, তার উপরে। সীমান্ত সংঘর্ষ থেকে শুরু করে ভারতীয় সংস্থাগুলির পণ্য রফতানির দাবি, প্রযুক্তির হাতবদলের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা বকেয়া রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ যখন চরমে তখন ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির বিরাট বাজারে উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি রফতানি বাড়ানো বেজিংয়ের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে জল মাপছে চিন। পরিস্থিতি বুঝে শি-র সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে বেজিং।