শুধু ক্রাইমিয়াই নয়, ইউক্রেনের ডলফিন বাহিনীরও দখল নিয়েছে রাশিয়া।
সাধারণ ডলফিন নয়। এই বাহিনী সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে রাখা মাইন কিংবা শত্রুপক্ষের ডুবুরিদের খুঁজে বের করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। সমুদ্র ঘেরা দেশের নিরাপত্তায় এই ধরনের ডলফিন বাহিনী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬০ সালে সাবেক সোভিয়েত রাশিয়া প্রথম এই ধরনের ডলফিন সেনাবাহিনী গড়ে তোলে। সোভিয়েত শাসনের পতনের পরে ওই সেনার ভার হাতে নেয় কিয়েভ। বৃহস্পতিবার রুশ সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এ বার থেকে ক্রাইমিয়ার বন্দর-শহর সেভাস্তোপোলে মোতায়েন ডলফিন বাহিনী রাশিয়ার হয়ে কাজ করবে। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। তবে ডলফিনদের মতোই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিন্ধুঘোটক বাহিনীও রয়েছে ইউক্রেনের। তারা এখন মস্কো না কিয়েভ কার হাতে তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেন নিয়ে সমস্যা পুরোপুরি না মিটলেও বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেছেন, এই পরিস্থিতি মোটেও ঠান্ডা যুদ্ধের মতো নয়। ইউক্রেনকে কেন আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি সমর্থন করছে এ দিন বক্তৃতায় তারও বিশদ ব্যাখ্যা দেন তিনি। পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি সাবধান করেন, রাশিয়ার পদক্ষেপ ভুল বার্তা দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে। এ দিনই আবার ইউক্রেনকে ২৭০০ কোটি ডলার সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)। এই সাহায্য পেলেও ইউক্রেন অন্যান্য দেশ থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করতে পারবে বলেও আইএমএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে।