কারজাইকে পূর্ণ সমর্থন নয়াদিল্লির

আমেরিকার সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের টানাপোড়েনের মধ্যে তাঁর পাশে দাঁড়াল ভারত। তালিবানের ঘাঁটি কন্দহরে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়ে দিলেন, আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কারজাইয়ের নেতৃত্বকে তাঁরা সম্মান করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কন্দহর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০০:৫৩
Share:

আমেরিকার সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের টানাপোড়েনের মধ্যে তাঁর পাশে দাঁড়াল ভারত। তালিবানের ঘাঁটি কন্দহরে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়ে দিলেন, আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কারজাইয়ের নেতৃত্বকে তাঁরা সম্মান করেন।

Advertisement

আফগানিস্তানের জাতীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করতে আজ কন্দহরে যান খুরশিদ। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কারজাইও। ভারতীয় সাহায্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি হয়েছে। আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকও করেন খুরশিদ।

২০১৪-এ আফগানিস্তান ছাড়বে অধিকাংশ মার্কিন সেনা। কিন্তু তার পরে সে দেশের পরিস্থিতি আবার নৈরাজ্যের দিকে যেতে পারে বলে অনেকের মত। এই অবস্থায় তালিবানের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ছক তৈরি করতে কারজাই সরকারকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। এই আলোচনায় সরাসরি মধ্যস্থতা করতে চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের শর্ত মানতে রাজি নয় আমেরিকা বা কারজাই সরকার। কারণ, পাক সেনাবাহিনী ও মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে তালিবান ও আল-কায়দার যোগের ইতিহাস বহু পুরনো। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ ক্ষমতাভাগের চেহারা এখনও স্পষ্ট নয়। তিক্ত হয়েছে কারজাই ও আমেরিকার সম্পর্কও।

Advertisement

বিষয়টি ভাবাচ্ছে ভারতকেও। অনেকের মতে, ক্ষমতাভাগের আলোচনায় নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতেই আজ কারজাইকে জোর গলায় সমর্থন করল ভারত। খুরশিদ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে আসন্ন নির্বাচনই প্রমাণ করছে সে দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি দৃঢ় হয়েছে। খুরশিদের কথায়, “আফগানিস্তানে সে দেশের মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে রাজি ভারত।’’ তাঁর বক্তব্য, “বিরোধী গোষ্ঠীর কেউ অস্ত্র ত্যাগ করে সংবিধান মানতে চাইলে তাঁদের নাগরিকত্বের পূর্ণ অধিকার দিতে চেয়েছে কারজাই সরকার। শক্তিশালী ও সাহসীই শত্রুদের শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান করতে পারেন।” এ ভাবে খুরশিদ তালিবানকেও বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আফগান সেনা ও পুলিশকে ভারত সব রকম সাহায্য করবে, আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আন্তর্জাতিক শিবির আফগান সেনা ও পুলিশকে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন