জঙ্গিদের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়েছে। কিন্তু আইএসের হাতে বন্দি দুই জাপানি নাগরিকের ভবিতব্য সম্পর্কে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে টোকিও।
সাংবাদিক কেনজি গোটো ও ব্যবসায়ী হারুনা ইউকায়াকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। প্রয়োজনে সংবিধান বদলে সিরিয়ায় জাপানি বাহিনী পাঠানো যায় কি না তাও ভেবে দেখেছে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি সংবিধান অনুযায়ী জাপানি বাহিনী কেবল দেশরক্ষার জন্যই লড়তে পারে। কিন্তু নয়া আইন এনেও সিরিয়ায় জাপানি সেনা পাঠানো সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে আবে সরকার। পশ্চিম এশিয়ার ওই এলাকায় যে সব দেশের যোগাযোগ রয়েছে তাদের মাধ্যমেই দুই পণবন্দিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে টোকিও।
সময়সীমা পেরোনোর কয়েক ঘণ্টা আগে গোটোর মুক্তির আর্জি জানিয়েছেন তাঁর মা জাঙ্কো ইশিদো। ইশিদোর কথায়, “আমার ছেলে মুসলিমদের শত্রু নয়। মা হিসেবে আমি কেবল ওর মুক্তির জন্য প্রার্থনাই করতে পারি।”
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে হামলায় প্রায় ৬০০০ জঙ্গিকে খতম করেছে তারা। তবে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন বাহিনী জিতছে কি না তা কেবল দেহের সংখ্যা দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না বলেই দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব চাক হাগেলের।
তাঁর কথায়, “আইএসে যোগ দেওয়ার উৎসাহে ভাটা পড়েছে। লড়াইয়ের সময়ে সরবরাহের পথ খোলা রাখা ও যোগাযোগ বজায় রাখতেও তাদের অসুবিধে হচ্ছে। এই বিষয়গুলি থেকেই বোঝা যায় আইএস জমি হারাচ্ছে।”