ছাড়ার কথা বলেও দূতাবাসেই অ্যাসাঞ্জ

খবর ছড়িয়েছিল অসুস্থতার কারণে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এমনকী সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকেও সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উইকিলিকস-কর্তা স্বয়ং। পরে অবশ্য তাঁর মুখপাত্র জানান, ব্রিটেন গ্রেফতারি প্রশ্নে সুর নরম করার পর মুহূর্তেই দূতাবাস ছাড়বেন অ্যাসাঞ্জ। তবে সেটা যে এখনই হচ্ছে না তা স্পষ্ট। কারণ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে আজও অনমনীয় ব্রিটেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইকুয়েডর শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৩
Share:

খবর ছড়িয়েছিল অসুস্থতার কারণে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এমনকী সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকেও সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উইকিলিকস-কর্তা স্বয়ং। পরে অবশ্য তাঁর মুখপাত্র জানান, ব্রিটেন গ্রেফতারি প্রশ্নে সুর নরম করার পর মুহূর্তেই দূতাবাস ছাড়বেন অ্যাসাঞ্জ। তবে সেটা যে এখনই হচ্ছে না তা স্পষ্ট। কারণ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে আজও অনমনীয় ব্রিটেন।

Advertisement

২০১২ সালের জুনে সুইডেনের হাতে প্রত্যর্পণ এড়াতে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন উইকিলিকস-কর্তা। তাঁর বিরুদ্ধে দুই মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিল সুইডেন। শুনানির জন্য অ্যাসাঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে পেতে ব্রিটেনকে অনুরোধ জানিয়েছিল সুইডেন। বিরোধিতা করে ব্রিটেনের আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর যুক্তি ছিল, এই মামলার নাম করে সুইডেনে এনে পরে তাঁকে আমেরিকাতেই পাঠানো হবে। এক বার যদি মার্কিন মুলুকে তিনি যান, তবে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁসের অপরাধে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেবে আমেরিকা। ব্রিটেন অবশ্য এ সব যুক্তিতে কান দেয়নি। গত দু’বছর ধরে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশপাশে পুলিশ প্রহরা বসিয়েছে তারা। এই প্রহরা খাতে প্রায় সাত মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে ব্রিটেন।

বৈঠকে অ্যাসাঞ্জ এ দিন প্রশ্ন তোলেন, “আমার পিছনে এত অর্থ খরচ না করে হাসপাতাল কিংবা গরীবদের খাবারের ব্যবস্থা করতে কেন খরচ করছে না ব্রিটেন?” পাশাপাশি জানিয়ে দেন, তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছিল, তা ঠিক নয়। দু’বছর ধরে বাইরের দুনিয়ার থেকে টানা বিচ্ছিন্ন থাকায় ক্লান্ত তিনি। কিন্তু এর বেশি কিছু নয়। বৈঠকে তখন তাঁর পাশে বসে ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী রিকোর্দো পাতিনো। তিনি বলেন, “আমরা এখনও ওঁকে নিরাপত্তা দেব...পাশাপাশি অ্যাসাঞ্জের মানবাধিকার আর যাতে লঙ্ঘন না হয় সে জন্য ব্রিটিশ ও সুইডিশ সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চালাতে রাজি আমরা।”

Advertisement

ফার্গুসন-কাণ্ডে ছুটি বাতিল করলেন ওবামা

সংবাদ সংস্থা • মিসৌরি

পুলিশের গুলিতে কিশোরের মৃত্যুর প্রতিবাদ ঘিরে রবিবার রাতেই উত্তাল হয়ে উঠল মিসৌরির ফার্গুসন শহর। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। উদ্বেগের কারণে এমনকী ছুটি বাতিল করে রবিবার রাতে ফিরেও আসেন হোয়াইট হাউসে। সোমবার ওবামা ফার্গুসনের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। ৯ অগস্ট ফার্গুসনে মাইকেল ব্রাউন নামের এক কিশোরকে গুলি করে মারে রাস্তায় টহলরত এক পুলিশ। প্রতিবাদে আন্দোলন চালাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগ, রবিবার বিনা প্ররোচনাতেই তাঁদের উপর চড়াও হয় মার্কিন পুলিশ। নির্বিচারে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সোমবার সকাল পর্যন্ত চালানো হয় কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট। লুঠপাট চলে দোকান ও রেস্তোরাঁয়। আহত হন কয়েক জন। পুলিশের পাল্টা দাবি, আন্দোলনের নামে হিংসাকে রুখতেই তাদের এই পদক্ষেপ। কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। মিসৌরির গভর্নর জে নিক্সন সোমবার সকালেই জানান, ফার্গুসনে শীঘ্রই নামানো হবে ন্যাশনাল গার্ড। নিরাপত্তা বজায় রাখতে বন্ধ রাখা হয়েছে স্থানীয় সব স্কুলও। কী হয়েছিল ৯ অগস্ট? ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্রাউনের বন্ধুদের অভিযোগ, গুলি চালানোর মতো কোনও পরিস্থিতিই সে দিন তৈরি হয়নি। সামান্য কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে পুলিশকে এগিয়ে আসতে দেখে মাথার উপর হাতও তোলে ব্রাউন। পুলিশ তবু গুলি চালায়। ব্রাউন কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যুর ঘটনায় অনেকে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগও তুলছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন