জঙ্গি দলে যোগ দিতে তাঁর বছর ষোলোর মেয়ে যে স্কুল পালাতে পারে, কল্পনাও করেননি বাবা আসাদ ইব্রাহিম। মার্কিন মুলুক ছেড়ে সিরিয়া পালাতে চেয়েছিল মেয়েটি। সঙ্গী আরও দুই। আলি ফারহা-র পিঠোপিঠি দুই মেয়ে। বড়টি ১৭, ছোটটির বয়স ১৫। কিছুই টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভেতরে ভেতরেই চলছিল পালানোর ছক। পাসপোর্ট সরানো থেকে শুরু করে বাড়ির দেরাজ থেকে ২০০০ ডলার হাতানো সবই ছিল পরিকল্পনা মাফিক। কিন্ত শেষরক্ষা হল না। জার্মানিতেই তাদের আটক করল এফবিআই।
এফবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে আটক করা হয় তিন কিশোরীকে। এফবিআই-এর তত্ত্বাবধানেই ইতিমধ্যে তারা পৌঁছে গিয়েছে তাদের ডেনভারের বাড়িতে। সোমবারই স্থানীয় থানা থেকে মিসিং ডায়েরি তুলে নেয় কিশোরীদের দুই পরিবার। ইব্রাহিমের মেয়ে জন্মসূত্রে সুদানীয়। আর অন্য দু’ বোন সোমালিয়ার। দু’টি পরিবারই অবশ্য পাকাপাকি ভাবে ডেনভারের বাসিন্দা।
কিশোর তো বটেই, আইএস-এর দলে নাম লেখানোর এই প্রবণতা ইদানীং ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বহু কিশোরীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি সে রকমই ইঙ্গিত মিলেছে আইএসের পোস্ট করা একটি প্রচারমূলক ভিডিও বার্তায়। সেখানে বছর সতেরোর এক কিশোরকে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্দেশে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে “যত দিন না বাকিংহাম প্যালেসের উপরে কালো পতাকা উড়ছে, আইএসআইএস লড়াই চালাবে।” অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দাদের দাবি, ওই কিশোর আবদুল্লাহ এলমির। গত জুনে ‘মাছ ধরতে যাচ্ছি’ বলে অন্য এক বন্ধুকে নিয়ে আইএসে নাম লেখাতে সিডনির বাড়ি থেকে তুরস্কে পালায় এলমির। তার পরিবারের দাবি, “ওর মগজধোলাই করেছে জঙ্গিরা। না হলে এমনটা হওয়ার কথা ছিল না।”
বছর দু’য়েক ধরে আইএসের হাতে পণবন্দি ব্রিটিশ সাংবাদিক জন ক্যান্টলির। হাসপাতাল থেকে ছেলেকে ফেরানোর আবেদন করেন অসুস্থ বাবা পল ক্যান্টলি। আজ সেখানেই মারা গিয়েছেন পল।