নির্ধারিত সময়ের পর আড়াই ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই উড়ছে না বিমান। হঠাৎ দেখা গেল বিমানের দিকে হন্তদন্ত হয়ে আসছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল যাত্রীদের। ওঁর জন্যই এত দেরি? বিমানের দরজা আটকালেন যাত্রীরা। বিস্তর বাদানুবাদ, ধস্তাধস্তি। শেষমেশ বিমান থেকে নামতে বাধ্য হলেন রেহমান। দেরিতে পৌঁছেছিলেন রমেশ কুমার ওয়াকওয়ানি নামে শাসক দলের এক হিন্দু এমপি-ও। তাঁকেও নেমে যেতে হয়। সোমবারের ঘটনা। সে সময়ের ভিডিও তুলে রেখেছিলেন এক যাত্রী। পরে সেটিই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
যে সংস্থার বিমানে ঘটনাটি ঘটে, সেই ‘পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স’(পিআইএ) জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ করাচি বিমানবন্দর থেকে পিকে-৩৭০র ওড়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি সময় মতো উড়তে পারেনি। ওই সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, “আমাদের সংস্থা মোটেও ভিআইপি সংস্কৃতি অনুসরণ করে না...যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমানটি দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছিল।” তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, দেড় ঘন্টা কেটে যাওয়ার পর আরও ১৫-২০ মিনিট বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল বিমানটি। সেই দেরির জন্য ইতিমধ্যেই দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে ওই সংস্থা।
যাত্রীরা অবশ্য গত কাল বিমানকর্মীদের কোনও যুক্তিই শোনেননি। অযথা আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর জন্য রেহমানকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন তাঁরা। এক জন বলেন, “মাফ করবেন। কিন্তু আপনাকে ফিরে যেতে হবে। যাত্রীদের কাছে আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আড়াইশো মানুষের ভোগান্তি হল স্রেফ আপনার জন্য।” অন্য এক যাত্রী বলেন, “আপনি আর মন্ত্রী নন। থাকলেও আমরা পাত্তা দিতাম না।” মাঝে যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন কর্মীরা। কিন্ত কে শোনে কার কথা? ক্ষোভের জেরে শেষমেশ বিমান থেকে নেমে যান রেহমান। যদিও টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, বিমানের দেরির জন্য তিনি মোটেও দায়ী নন। অন্য দিকে ওয়াকওয়ানির দাবি, বিমানটি কখন ছাড়বে সে কথা পিআইএ তাঁকে জানানোর পর মুহূর্তেই বিমানবন্দরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি।