সেই চেনা ছবি। কালো পশমের টুপি, পরনে লাল কোট আর হাতে বেয়োনেট লাগানো বন্দুক। বাকিংহাম প্যালেসের সামনে স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রয়্যাল গার্ড। আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু পর্যটক। এটা সেটা মন্তব্য করছেন। কিন্তু তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই নিরাপত্তারক্ষীর। নেই কোনও নড়ন চড়ন।
কারণ সেটাই দস্তুর। রাজপরিবারের নিয়ম। বড় কোনও নাশকতা না ঘটলে, নিজের জায়গা ছাড়া চলবে না। আর বহু পুরনো সেই ঐতিহাসিক নিয়ম ভাঙল আজ। সহসাই।
রোজকার মতো আজও বহু পর্যটক ভিড় করেছিল বাকিংহাম প্যালেসের সামনে। কিন্তু প্রাসাদ দেখার বদলে সকলেরই চোখ ঘুরছে লোকটার দিকে। তখন থেকে প্রাসাদের সামনে কর্মরত এক রক্ষীকে যা নয় তা বলে চলেছে। উত্যক্ত করে চলেছে নাগাড়ে। ছন্দপতন ঘটল হঠাৎই। কয়েক গজ দূর থেকে লোকটির উষ্ণ বাক্যবাণ লক্ষ করেন রাজপরিবারের আর এক নিরাপত্তারক্ষী। কিছু না বলে সোজাসুজি বন্দুক নিয়ে লোকটিকে আক্রমণ করেছেন তিনি-ই। বন্দুকের সামনে লাগানো ছুরির ফলাটা (বেয়োনেট) খোঁচা মারল আগন্তুকের থুতনিতে।
তাতেও ভাবলেশহীন ওই ব্যক্তি। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, লোকটি নাকি তাতে বলে ওঠে, “অনেক বড় হয়েছো। এ সব কোরো না।” নিরাপত্তারক্ষী তাতে আরও চেঁচিয়ে উঠে বলেন, “হ্যাঁ বড় হয়েছি।” আর তার পরই সজোরে ধাক্কা দেন তাকে। শেষমেশ তাঁকে শান্ত করলেন সহকর্মীই, যাঁর জন্য তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। প্রাসাদের সামনে থেকে তাড়ানো হল আগন্তুককে। কিন্তু লোকটি যেহেতু কোনও ক্ষতি করেনি, তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
দিনের শেষে অবশ্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে ‘ঐতিহাসিক নিয়মভঙ্গ’। বাকিংহাম নিরাপত্তা আধিকারিক যদিও তাঁদের সহকর্মীটির পাশেই দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, “লোকটিকে শিক্ষা দিতে ওঁর যা করা উচিত ছিল, তা-ই করেছেন।”