কারারক্ষীদের কাছ থেকে চাবি চুরি করে পালানোর ছক কষেছিল তাইওয়ানের ছয় কয়েদি। জেলকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মূল দরজার চাবি হাতেও পেয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু সেই চাবি দিয়ে জেলের দরজা খুলতে পারা যায়নি।
এর পরের ঘটনা হলিউডের রোমাঞ্চকর ছবির তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। কারারক্ষীদের মারধর করে জেলের অস্ত্রাগারে ঢুকে পরে ওই ছ’জন। অবাধে লুঠপাট চালিয়ে চুরি করে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পণবন্দি করে রক্ষীদের। টানা ১৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটকের শেষটা আরও নাটকীয়। একে একে পণবন্দিদের মুক্ত করে লুঠ করা বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে ছয় কয়েদি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে তাইওয়ানের কাওসিয়াং শহরের জেলটি। বার বার আলোচনার মাধ্যমে ওই ছ’জন কয়েদির সঙ্গে রফা করতে চেয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। সহকারী বিচারমন্ত্রী চেন মিং টাঙের কথায়, “ওরা যাতে কোনও ভুল কাজ করে না বসে সে জন্য বার বার ওদের বোঝানো হয়েছে। কিন্তু ওরা কথা শোননি। এ ভাবে ওরা আত্মহত্যা করবে ভাবিনি। আমাদেরও খুব আফশোস হচ্ছে।”
চেন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পাঁচ জন কারারক্ষী সামান্য আহত হয়েছেন। প্রথমে বেশ কয়েক জনকে পণবন্দি করলেও জেলের ওয়ার্ডেন এবং প্রধান রক্ষী ছাড়া একে একে সবাইকেই ছেড়ে দেয় ওই ছ’জন। এর পরেই নিজেদের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে তারা। চেন জানান, আত্মঘাতী ছয় কয়েদির ডাকাতি, খুন এবং মাদক চালানের মতো গুরুতর অপরাধে কারাদণ্ড হয়েছিল।