পুলিশের মারে পক্ষাঘাত প্রৌঢ়ের, ব্যাখ্যা চাইল দিল্লি

ছেলের কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। বিদেশ বিভুঁইয়ে ছেলে কোন পাড়ায় থাকে, সেটা দেখতেই এক দিন হাঁটতে বেরোন। ছেলেও না করেননি। কারণ এলাকার আর পাঁচ জনও হাঁটতে বের হন। ভয়ের কিছুই দেখেননি তিনি। ভুল করেছিলেন সেটাই। আমেরিকার আলাবামায় পুলিশের মারে পক্ষাঘাত হয়ে এখন শয্যাশায়ী সুরেশভাই পটেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আলাবামা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৪:৪৭
Share:

ছেলের কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। বিদেশ বিভুঁইয়ে ছেলে কোন পাড়ায় থাকে, সেটা দেখতেই এক দিন হাঁটতে বেরোন। ছেলেও না করেননি। কারণ এলাকার আর পাঁচ জনও হাঁটতে বের হন। ভয়ের কিছুই দেখেননি তিনি। ভুল করেছিলেন সেটাই। আমেরিকার আলাবামায় পুলিশের মারে পক্ষাঘাত হয়ে এখন শয্যাশায়ী সুরেশভাই পটেল।

Advertisement

আলাবামার হান্টসভিলের রাস্তায় সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে সুরেশভাই পটেলের পথ আটকায় পুলিশ। প্রৌঢ় ইংরেজি জানতেন না। ফলে কোনও কথারই স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। অভিযোগ, এর পরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটায় আলাবামা পুলিশ। তাতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে শয্যাশায়ী ৫৭ বছর বয়সী সুরেশভাই।

বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের পাশাপাশি সুরেশভাইয়ের ছেলে চিরাগও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

চিরাগ বলেন, “সপ্তাহ দুয়েক আগে বাবাকে নিয়ে এসেছিলাম। সে দিন পাড়ার মধ্যেই হাঁটতে বেরোন। পাড়াপড়শিদের সকলেই এ রকম হাঁটেন। নতুন কিছু নয়। এ তো কারও বাড়ির বাগানে অনুপ্রবেশ নয়। পাশের রাস্তা ধরে হাঁটা।” চিরাগ জানিয়েছেন, সুরেশভাই ভালো ইংরেজি জানেন না। কিন্তু ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বোঝাতে চান কেন তিনি রাস্তায় হাঁটছেন। চিরাগের প্রশ্ন, “তার পরেও বাবাকে এ ভাবে কেন মারধর করল পুলিশ?”

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, সুরেশভাই আশপাশের বাড়ির গ্যারাজে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন। পুলিশ কারণ জানতে চাইলে কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি। শুধু একটাই কথা বলে যাচ্ছিলেন, ‘নো ইংলিশ’। তাঁর এক হাত ছিল পকেটে। তাই পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে। সুরেশভাইকে মাটিতে ফেলে মারধর করে তারা। চিরাগ বার বার পুলিশের কাছ থেকে ঘটনার অডিও-ভিস্যুয়াল রেকর্ডিং চেয়েছিলেন। কিন্তু তা-ও দিতে নারাজ পুলিশ।

ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছে ভারত সরকার। এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দিল্লির মার্কিন দূতাবাসে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। প্রশ্ন তোলা হয়েছে মার্কিন পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়েও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন