ব্ল্যাক বক্স কি আশপাশেই, জল্পনা খুঁজে পাওয়া বিমানের লেজ ঘিরে

অবশেষে মিলল লেজের টুকরো। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এয়ার এশিয়ার যাত্রিবাহী বিমানের লেজের অংশের সন্ধান জাভা সাগরে আজই মিলেছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা। তীব্র স্রোতের কারণে বিমানের ভেঙে পড়া অংশগুলি আরও দূরে ভেসে যেতে পারে অনুমান করে গত কালই অনুসন্ধানের পরিধি বাড়ানো হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জাকার্তা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৭
Share:

অবশেষে মিলল লেজের টুকরো। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এয়ার এশিয়ার যাত্রিবাহী বিমানের লেজের অংশের সন্ধান জাভা সাগরে আজই মিলেছে বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা। তীব্র স্রোতের কারণে বিমানের ভেঙে পড়া অংশগুলি আরও দূরে ভেসে যেতে পারে অনুমান করে গত কালই অনুসন্ধানের পরিধি বাড়ানো হয়েছিল। মূল যে জায়গায় এত দিন তল্লাশি জারি ছিল, সেখান থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে আজ এই লেজের অংশ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। যাত্রী ও কর্মী মিলিয়ে ১৬২ জন ছিলেন ওই বিমানে। ১২২ জনের দেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি, অনুমান, বিমানের মূল অংশেই আটক সেই সব মৃতদেহ।

Advertisement

গত কয়েক দিনে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু ধ্বংসাবশেষ মাঝসমুদ্র থেকে উদ্ধার হলেও ঘটনার দশ দিন পরেও হদিস মেলেনি বিমানটির মূল অংশ এবং ব্ল্যাক বক্সের। তবে লেজের খোঁজ মেলায় স্বস্তিতে তল্লাশিকারীরা। তাঁদের দাবি, বিমানটির ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির সন্ধানও দ্রুত মিলবে। তল্লাশিকারীদের দাবি, সমুদ্রের উপরিতল থেকে প্রায় ৩০ মিটার নীচে কাদার মধ্যে গেঁথেছিল বিমানের এই অংশটি। তাঁদের পাঠানো ছবিতে বিমানের ভাঙা অংশে এয়ার এশিয়ার আদ্যক্ষর ‘এ’ পাওয়া গিয়েছে।

অভিযানে আরও তৎপরতার আশ্বাস মিলেছে ইন্দোনেশিয়ার জাহাজ মন্ত্রকের তরফেও। বিমানের ভাঙা অংশ মেলার খবর পেয়ে মন্ত্রী সোয়েসিলো সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই মুহূর্তে যেখানে তল্লাশি চলছে, তার পরিধি আরও বাড়ানো হবে। অতিরিক্ত ছ’টি তল্লাশি জাহাজ পাঠানো হচ্ছে সাগরে।” ব্ল্যাক বক্স থেকেই যে হেতু বিমানটির দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে, তাই তা খোঁজাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিমান বিশেষজ্ঞদের দাবি। স্বাভাবিক ভাবে জলের নীচেও তিরিশ দিন আয়ু থাকার কথা ব্ল্যাক বক্সের। ইতিমধ্যে পেরিয়েছে ১০ দিন। তল্লাশিকারীদের আশা, ব্ল্যাক বক্স তো বটেই, খুব শীঘ্রই খোঁজ মিলবে বিমানের বাকি অংশেরও।

Advertisement

গত ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে চাঙ্গি যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১। প্রাথমিক অনুমান, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই জাভা সাগরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সম্প্রতি দীর্ঘ এক রিপোর্ট পেশ করে এ কথা জানায় ইন্দোনেশিয়া। বিস্তারিত তথ্য মিলবে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন